এক ট্রিলিয়ন সূর্যের শক্তি যে বায়ুপ্রবাহে

 শীতের হাড়কাঁপানো বাতাসকে যদি কখনো ভয় পেয়ে থাকেন, তবে জেনে রাখুন, এই কৃষ্ণগহবরের তৈরি বায়ুপ্রবাহের শক্তি এক ট্রিলিয়ন সূর্যের তৈরি করা শক্তির চাইতেও বেশি।

PDS456 নামের এই কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোলের ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যায় নাসার দুইটি স্পেস টেলিস্কোপ থেকে। এই কৃষ্ণগহ্বরের থেকে বায়ুপ্রবাহ বের হয়ে আসতে থাকে আলোর গতির এক তৃতীয়াংশ গতিতে। আর প্রতি সেকেন্ডের এই বায়ুপ্রবাহ থেকে আসে এক ট্রিলিয়ন সূর্যের চাইতেও বেশি শক্তি।

নাসার তথ্য থেকে দেখা যায় এই কৃষ্ণগহ্বরটি একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল। এটি একটি কোয়াজারের কেন্দ্রে অবস্থিত। এর থেকে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে প্রচন্ড দ্রুতগতির এই বায়ুপ্রবাহ। শুধু তাই নয়, এই বায়ুপ্রবাহ এবং এর মাঝে থাকা আয়নিত পরমাণুগুলো এতো শক্তি ধারণ করে যে এই গ্যালাক্সিতে কোনো নতুন তারকার জন্ম হতে পারে না।কোয়াজারের কারণে যে একটি গ্যালাক্সি থেকে ভর হারিয়ে যায়, তা বোঝা যাচ্ছে এই পর্যবেক্ষণ থেকে। কোনো একটি গ্যালাক্সিতে নতুন তারকা তৈরির জ্বালানী হলো গ্যাস। আর কোয়াজার এসব গ্যাসকেই বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে গ্যালাক্সির বাইরে পাঠিয়ে দেয়। ফলে নতুন তারকা সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি ব্যহত হয়।

PDS456 কৃষ্ণগহ্বরটি পৃথিবী থেকে দুই বিলিয়ন আলোকবর্ষেরও বেশি দূরে অবস্থিত। এর ব্যাপারে তথ্যগুলো সংগ্রহ করে নাসার নিউক্লিয়ার স্পেক্ট্রোস্কোপিক টেলিস্কোপ অ্যারে (Nustar) এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির XMM-Newton.

Leave a Reply