ত্রিফলা অতি প্রাচীন একটি আয়ুবেদিক ঔষধী । আমলকী-হরিতকী-বহেড়া এই তিন ঔষধীগুণ সম্পন্ন ভেষজকেই একত্রে ত্রিফলা বলা হয় । আমরা সকলেই জানি আমলকী-হরিতকী-বহেড়া প্রতিটিরই ভেষজগুণ বলে শেষ করা যাবে না । তবুও আমি একটু একটু করে বলি–
১.আমলকী- > হার্ট সুস্থ রাখে,ফুসফুসকে শক্তিশালী করে
> দাঁত ও নখ ভাল রাখে
> জ্বর,বদহজম,সানবার্ন,সানস্ট্রোক থেকে রক্ষা করে
> দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখে,ছানি পড়া প্রতিরোধ করে
> অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে
> লিভারের কার্যকলাপে,পাইলসে সাহায্য করে
> ব্রঙ্কাইটিস,এ্যাজমা,ডায়াবেটিক,কোলেস্টেরল জনিত সমস্যা কমায়
> চোখ,চুল,ত্বক ভাল রাখে
> হজমে সাহায্য করে ও স্টমাকে এ্যাসিড ব্যালেন্স বজায় রাখে
২. হরিতকী- হরিতকীকে বলা হয় মায়ের মত । এমন কোন রোগ নেই যাতে হরিতকী ফলপ্রসু নয় । তবে বিশেষ করে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসজনিত রোগের ক্ষেত্রে এটি বিশেষ উপকারী ।
৩. বহেড়া- এটিকে বলা হয় দীর্ঘায়ু লাভের মহৌষধী । এছাড়াও-
> কোলেস্টেরল লেভেল কমানোয় চমৎকার কাজ করে
> এটি ক্ষুধামন্দা দূ্র করে
> সর্দি-কাশি-আমাশয়-কৃমি-ডায়রিয়া-পিত্ত সমস্যা নিরাময় হয়
> হাঁপানি কমায়
এখন আপনিই ভাবুন এগুলোর সম্মিলিত ঔষধীগুন কি হতে পারে । আপনি শুধু যে অতিভোজের কথা বলেছেন ত্রিফলা সেটাতে তো চমৎকার কাজ করবেই এছাড়া এই সমস্যাগুলোকেও আপনার থেকে দূরে রাখবে । কোন রকম সমস্যা ছাড়াই ঝটপট হজমে সহায়তা করে আপনাকে আর একটি অতিভোজের জন্য নিমিষেই তৈরী করে দেবে । তাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস ত্রিফলার পানি খাওয়ার অভ্যাস করে ফেলুন । আর অতিভোজ হয়ে গেলে খাবার ২ ঘন্টা পরে ১ গ্লাস । নিশ্চন্ত মনে অতিভোজ করুন তারপর ত্রিফলার পানি খেয়ে নিন ব্যস একদম ফিট আপনি ।