পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর একটি দেশ। দেশটির প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই।
এটি ছাড়াও পাকিস্তানে আরো দু’টি গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে।
এ দু’টি দেশের অভ্যন্তরে গোয়েন্দা তৎপরতা পরিচালনা করে। আইএসআই’র কাজ দেশের বাইরে। ১৯৪৭ সালে ইন্দো-পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তান মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স উল্লেখযোগ্য কোনো গোয়েন্দা তৎপরতা পরিচালনা করতে না পারায় বহির্বিশ্বের জন্য পৃথক গোয়েন্দা সংস্থার প্রয়োজন হয়।
এরই প্রেক্ষাপটে ১৯৪৮ সালে ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়। নাম দেয়া হয় ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি)। প্রথম দিকে এটি মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের পৃথক একটি ইউনিট ছিল। অফিসও করা হয় মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স অফিস থেকে আলাদা স্থানে রাওয়ালপিন্ডিতে। অবশ্য কিছু দিনের মধ্যে রাজধানী ইসলামাবাদে এর হেডকোয়ার্টার স্থানান্তর করা হয়। লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম তাজ আইএসআই’র বর্তমান প্রধান।
প্রতিষ্ঠার গোড়ার তথ্য
ব্রিটিশ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর পাকিস্তান দু’টি গোয়েন্দা সংস্থা গঠন করে। এর একটি হচ্ছে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি)। অপরটি হচ্ছে মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স (এমআই)। ১৯৪৭ সালে ইন্দো-পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তানের আর্মি, নেভি ও এয়ার এই তিন বাহিনীই সর্বশক্তি দিয়ে অংশগ্রহণ করে। যুদ্ধকালীন প্রতিপক্ষের গোপন তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব ছিল মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের। কিন্তু এ সংস্থা প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়। অন্য দিকে প্রকাশ হয়ে পড়ে পাকিস্তান ও আইএসআই’র দুর্বল দিকগুলো। তখনই বহির্বিশ্বে গোয়েন্দা তৎপরতা চালানোর জন্য আলাদা সংস্থার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে পাকিস্তান সরকার।
১৯৪৮ সালে আইএসআই প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রধান করা হয় ব্রিটিশ আর্মি অফিসার মেজর জেনারেল আর কথোমকে । এর আগে তিনি পাকিস্তান আর্মির ডেপুটি চিফ ছিলেন। ১৯৫০ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান আইএসআই’র কার্যক্ষেত্র বৃদ্ধি করেন। তিনি দেশে এবং দেশের বাইরে পাকিস্তানের আগ্রহের ক্ষেত্র নির্দেশ করে গোয়েন্দা তৎপরতা চালানোর জন্য আইএসআইকে নির্দেশ দেন। তার সময়েই বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের গতিবিধি পর্যালোচনার দায়িত্ব দেয়া হয় আইএসআইকে। গোয়েন্দা রিপোর্ট তিন মিলিটারি সার্ভিসের (আর্মি, নেভি, এয়ার) সাথে সমন্বয় করতেও বলা হয় এ সংস্থাকে। ১৯৬৫ সালের ইন্দো-পাকিস্তান যুদ্ধেও আইএসআই উল্লেখযোগ্য সফলতা দেখাতে পারেনি। এ কারণে ১৯৬৬ সালে সংস্থাটিকে আবার পুনর্গঠন করা হয়। ১৯৬৯ সালে এর কার্যক্রম আরো বিস্তৃত করা হয়। এ সময়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর শাখা করা হয়। স্থাপন করা হয় অফিসও। তবে পূর্ব পাকিস্তানে গোয়েন্দা তৎপরতার মূল লক্ষ্য ছিল বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। এক বছর পর বেলুচিস্তানে একইভাবে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে আইএসআই।
পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন
১৯৫৩ সালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পাকিস্তানের সামরিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ে সহযোগিতার জন্য সমঝোতা হয়। এর ফলে পাকিস্তান এ দু’ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সহযোগিতা পায়। অন্য দিকে বিশ্বব্যাপী কমিউনিজমবিরোধী আন্দোলনে পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সহায়তা করতে হয়। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৫৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং সাউথ এশিয়া ট্রিয়েটি অর্গানাইজেশনের (সিয়াটো) সদস্য হয়। মূলত এ সময় থেকেই পাকিস্তান সামরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অনেকটা উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। আফগানিস্তানে সোভিয়েতবিরোধী তৎপরতায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএকে আইএসআই যথেষ্ট সহযোগিতা করে।
গোয়েন্দা তৎপরতার উদ্দেশ্য
আইএসআই’র গোয়েন্দা তৎপরতার প্রধান উদ্দেশ্য দেশ ও দেশের বাইরে জাতীয় নিরাপত্তা সমুন্নত রাখা। টার্গেট দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক তৎপরতার গোপন সংবাদ সংগ্রহ। দেশের অভ্যন্তরের তিন সামরিক শাখার মধ্যে সমন্বয় করা। মিলিটারি ক্যাডারের সদস্য, সংবাদ মাধ্যম, দেশ ও দেশের বাইরে পাকিস্তান সোসাইটির রাজনৈতিক কর্মতৎপরতা, পাকিস্তানে অন্য দেশের কূটনীতিকদের তৎপরতা, পাকিস্তানের কূটনীতিকদের অন্য দেশে তৎপরতা এসবের প্রতি সতর্ক নজর রাখা আইএসআই’র দায়িত্ব।
সাংগঠনিক কাঠামো
আইএসআই’র হেড কোয়ার্টার রাজধানী ইসলামাবাদে। সংস্থাটির প্রধানকে বলা হয় ডিরেক্টর জেনারেল। সাধারণত পাকিস্তান আর্মির লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমর্যাদার কাউকে এর প্রধান করা হয়। ডিরেক্টর জেনারেলের অধীনে রয়েছেন তিনজন ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল। এই তিনজনের কাজের তিনটি ক্ষেত্র হচ্ছে রাজনৈতিক, বহির্বিশ্ব ও সাধারণ কর্মতৎপরতার গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ। আইএসআই’র স্টাফদের অধিকাংশকে নিয়োগ দেয়া হয় পুলিশ, আধাসামরিক ও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে পাকিস্তান আর্মির সদস্যদের মধ্য থেকে। এর স্টাফ সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। তবে তথ্য সংগ্রহের জন্য ৩০ হাজার ইনফরম্যাটস রয়েছে।
ডিপার্টমেন্টস
সংস্থাটির প্রধান বিভাগ রয়েছে মোট সাতটি। জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স এক্স বা জেআইএক্স বিভাগের কাজ হচ্ছে আইএসআই’র বিভিন্ন শাখার কাজের সমন্বয় করে রিপোর্ট দেয়। ১৯৮০ সালের পর থেকে জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো বা জেআইবি বিভাগ হচ্ছে আইএসআই’র সবচেয়ে বড় ও কর্তৃত্বশীল বিভাগ। এ বিভাগের মূল কাজ হচ্ছে রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তির গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ। এ ছাড়াও এ বিভাগকে অতিরিক্ত তিনটি দায়িত্ব দেয়া আছে। এগুলো হচ্ছে অপারেশন ইন ইন্ডিয়া, কন্ডাক্টিং অ্যান্টি-টেরোরিজম অপারেশনস ও প্রেভাইডিং সিকিউরিটি টু ভিআইপি। সংস্থাটির অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হচ্ছে জয়েন্ট কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো বা জেসিআইবি।
বিভিন্ন দেশে পাকিস্তানের কুটনীতিকরা গোয়েন্দা তৎপরতার রিপোর্ট এ বিভাগকে দেন। এ বিভাগের অধীনে প্রধান এলাকা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া, চীন, আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলো। অবশ্য ইউরোপ, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহও এ বিভাগের অধীনেই করা হয়। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সিআইএ’র তৎপরতাও এ বিভাগ পর্যবেক্ষণ করে। অপর বিভাগ জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স নর্থ বা জেআইএন’র কার্যক্ষেত্র হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীর। অবশ্য এ বিভাগের কার্যক্রম অনেকটা কমিয়ে আনা হয়েছে। আইএসআই’র আর একটি বিভাগ জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স মিসিলিনিস বা জেআইএম বিভাগ যুদ্ধচলাকালীন গোয়েন্দাগিরিসহ যুদ্ধে সরাসরি প্রতিরোধের কাজ করে। সংস্থাটির ওয়্যারলেস যোগাযোগ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে জয়েন্ট সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো বা জেএসআইবি বিভাগ। সংস্থাটির সর্বশেষ বিভাগ হচ্ছে জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স টেকনিক্যাল বা জেআইটি বিভাগ। ুদ্র যন্ত্রাংশের উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় উপকরণ রক্ষণাবেক্ষণ ও রাসায়নিক বিভিন্ন উপকরণ দেখভাল করার দায়িত্ব এ বিভাগের।
ডিরেক্টর জেনারেল
১৯৫৯ সাল থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত আইএসআই’র ডিরেক্টর জেনারেল ছিলেন ব্রিগেডিয়ার রিয়াজ হোসাইন। ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আকবর খান। পরে অবশ্য তিনি মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পান। ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন মেজর জেনারেল গোলাম জিলানী খান। তাকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত মেজর জেনারেল মুহাম্মদ রিয়াজ খান ছিলেন এর প্রধান। ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৭ সালের মার্চ পর্যন্ত সংস্থাটির প্রধান ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আখতার আবদুর রহমান। তার পরে সংস্থাটির দায়িত্ব দেয়া হয় লেফটেন্যান্ট জেনারেল হামিদ গুলকে। তিনি দায়িত্বে ছিলেন ১৯৮৯ সালের মে মাস পর্যন্ত।
মে ১৯৮৯ থেকে আগস্ট ১৯৯০ পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) শামসুর রহমান কাল্লু। লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসাদ দুররানী দায়িত্বে ছেলেন আগস্ট ১৯৯০ থেকে মার্চ ১৯৯২ সাল পর্যন্ত। লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাভেদ নাসির ছিলেন মার্চ ১৯৯২ থেকে মে ১৯৯৩ পর্যন্ত। তার পর থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাভেদ আশরাফ কাজী। ১৯৯৫ সালে দায়িত্ব দেয়া হয় মেজর জেনারেল নাসিম রানাকে। তাকেও লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। তিনি দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর অক্টোবর ১৯৯৮ থেকে অক্টোবর ১৯৯৯ পর্যন্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউদ্দীন ভাট, অক্টোবর ১৯৯৯ থেকে অক্টোবর ২০০১ পর্যন্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহমুদ আহমেদ, অক্টোবর ২০০১ থেকে অক্টোবর ২০০৪ পর্যন্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইসহাক উল হক, অক্টোবর ২০০৪ থেকে অক্টোবর ২০০৭ পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আশফাক পারভেজ কিয়ানি।
জনবল নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ
আইএসআইতে সামরিক ও বেসামরিক উভয় পর্যায়ের লোকই নিয়োগ দেয়া হয়। বেসামরিক প্রার্থীদের নিয়োগ দেয় ফেডারেল পাবলিক সার্ভিস কমিশন। আর সামরিক লোকদের নিয়োগ দেয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বেসামরিক প্রার্থীদের নিয়োগ পেতে সমসাময়িক বিষয়াবলি, ইংরেজিতে দক্ষতা, বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্লেষণী শক্তি, বিশ্বের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্পষ্ট ধারণাসহ অনেকগুলো বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব দেখাতে হয়। এসব বিষয় ছাড়া প্রার্থীর পারিবারিক ঐতিহ্য, ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড বিষয়ে সরাসরি জিজ্ঞাসার মাধ্যমে ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিশ্চিত হওয়ার পর তার মেডিক্যাল চেকআপ করা হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রাথমিকভাবে বেসামরিক প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হয়। তবে টেকনিক্যাল পদে সাধারণত বেসামরিক প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া হয় না। নিয়োগপ্রাপ্তির পর প্রার্থীকে এক বছরের জন্য ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স স্কুলে প্রশিক্ষণ নিতে হয়। সামরিক প্রার্থীরা এই স্কুলে প্রশিক্ষণ শেষে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারে। তাদেরও এ সংস্থায় প্রাথমিকভাবে নিয়োগ দেয়ার পর চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
শেষ কথা
আইএসআই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এ সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধে দেয়া সম্ভব নয়। কলেবর অনেক বড় হবে এজন্য সংস্থাটির সাথে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সম্পর্ক; ভারত, আফগানিস্তান, চীন, ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশে সংস্থাটির অপারেশন এ প্রবন্ধে উল্লেখ করা সম্ভব হয়নি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংস্থাটিকে অনেকগুলো যুদ্ধে সম্পৃক্ত হতে হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে সংস্থাটি বাংলাদেশে বিভিন্ন হত্যাযজ্ঞে সহায়তা করে। অভিযোগ আছে কমিউনিস্টবিরোধী আন্দোলনে আফগানিস্তানে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সিআইএকে সহায়তা করে এ সংস্থা। আফগানিস্তানে জাতিগত দ্বন্দ্বের পেছনেও এ সংস্থার ইন্ধন রয়েছে বলে সিআইএ ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা আরএডব্লিউ অভিযোগ করে। কাশ্মীর প্রশ্নে সংস্থাটির যেমন সফলতা রয়েছে তেমনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যর্থতাও কম নয়। গোয়েন্দাগিরিতে সংস্থাটি কখনোই সিআইএ কিংবা কেজিবি’র সমকক্ষ হতে পারেনি। মোসাদের তো নয়ই। সামরিক, অর্থনৈতিক ও গোয়েন্দাগিরিতে মার্কিন সহায়তা অনেকবার দেশটিকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে। দেশটির বর্তমান অবস্থা তারই ধারাবাহিকতার ফসল।