হলোলেন্সের ধারণাটা অনেকটাই সায়েন্স ফিকশনের মতো। হলোলেন্সের সাথে থাকা সফটওয়্যার অনসাইট ব্যবহার করে মঙ্গল পর্যবেক্ষণে একে কাজে লাগাতে চান নাসার গবেষকেরা। মাইক্রোসফট এবং নাসার গবেষকেরা একত্রে এই সফটওয়্যার তৈরি করেন।
এই হেডসেট পরিহিত অবস্থায় গবেষকেরা মঙ্গলের একটি হলোগ্রাফিক সিমুলেশন দেখতে পাবেন। এই সিমুলেশন তৈরি হবে নাসার কিউরিওসিটি রোভারের ধারণ করা তথ্য থেকে। একই সময়ে অনেকে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করলে তারা নিজেদের মাঝে এবং কিউরিওসিটি রোভারের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। এমনকি মঙ্গলের পৃষ্ঠেও এটা সেটা নাড়াচাড়া করতে পারবেন। নিজেদের অফিসে বসেই মঙ্গলের পৃষ্ঠে ঘুরে বেড়ানোর অনুভূতি পাবেন তারা। এর মাধ্যমে মঙ্গলকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।
এই সফটওয়্যার ব্যবহারকারীর অঙ্গভঙ্গির ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হবে। নিজেদের কম্পিউটার ব্যবহার না করেই কিউরিওসিটিতে থাকা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিজের ইচ্ছেমত পরিচালিত করা যাবে। এই গ্রীষ্মেই অনসাইট টেস্ট করা শুরু হবে এবং জুলাই এর মাঝে মঙ্গলের রোভার নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করা যাবে বলে আশা করছে নাসা। ভবিষ্যতের অন্যান্য মঙ্গল সংক্রান্ত মিশনেও এই সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে।