ইন্টারনেট ডট ওআরজি প্রকল্পের অধীনে প্রাথমিক ভাবে, ফেসবুক, জাতীয় তথ্য বাতায়ন, সার্ভিস পোর্টাল, ন্যাশনাল ফর্মস পোর্টাল, উইকিপিডিয়া, দুটি পত্রিকাসহ মোট ছয়টি পোর্টাল ব্যবেহারের সুযোগ মিলবে বলে জানা গেছে।
ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দিতে পোর্টালগুলোতে মোবাইল উপযোগী হওয়ার পাশপাশি এতে বেশি ছবি থাকতে পারবে না। একইসঙ্গে জাভা স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা যাবে না এমন অনেক শর্ত দিয়েছে সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করা ফেসবুকের (ইন্টারনেট ডট ওআরজি প্রকল্প) ১০ সদস্যের টিম।
শর্তমেনে ওয়েবের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। ফলে সেবা চালু হলেও ইন্টারনেট ডট আরজি অ্যাপ এবং সরাসরি দু’ভাবেই ব্যবহার করা যাবে। অ্যাপ বা সরাসরি (ইন্টারনেট ডট ওআরজিতে লগ-ইন করে) সংশ্লিষ্ট সাইটে প্রবেশ করলে সেই সাইটের বাণিজ্যিক কনটেন্ট (বিজ্ঞাপন) দেখা যাবে না। তবে তথ্য সম্পর্কিত সব কিছুই দেখা যাবে।
ইন্টারনেট ডট ওআরজি প্রকল্পের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সমন্বয়কারী দিপ্তি গোর শনিবার ঢাকা ছাড়ার আগে বিষটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে জিরো ইন্টারনেট প্রকল্প চালু করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। প্রকল্পের কাজও অনেক দূর এগিয়েছে।
এদিকে ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পটি দেশে চালু করতে গ্রামীণফোন ও রবি’র সম্মতি পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সফরে আসা উইকিপিডিয়া সহ-প্রতিষ্ঠাতা জিমিওয়েলস এক বৈঠকে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, অপর অপারেটরগুলোর সঙ্গেও জিরো ইন্টারনেট প্রকল্প চালুর বিষয়ে এই প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ চলছে।
অপরদিকে দিপ্তি গোরের নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প, ২০টি এনজিও, দুটি জাতীয় দৈনিক, মোবাইলফোন অপারেটরসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছে ইন্টারনেট ডট ওআরজি প্রকল্পের একটি টেকনিক্যাল টিম। বৈঠকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা চালুর ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকতা শেষে ইন্টারনেট ডট ওআরজির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে আমাদের ৬টি পোর্টাল মোবাইল ব্যবহারকারীরা বিনা খরচে ব্যবহার করতে পারবেন