রিসপনসিভ ওয়েব ডিজাইন শুরুর কথা

index539

কিছুদিন আগেও ইন্টারনেট ব্যাবহারের জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কম্পিউটার ব্যাবহার করা হতো। সে সময় সকল ওয়েবসাইট ছিল কম্পিউটার স্কিন উপযোগী করে তৈরি করা। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই পরিস্থিতির ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এখন ইন্টারনেট ব্যাবহার করা হয় বিভিন্ন রকম ডিভাইস দিয়ে যেমন, মোবাইল, ট্যাব, ল্যপটপ ইত্যাদি। এগুলো ডিভাইসের স্কিন এর আকার একেকটির একেক রকম। তাই কম্পিউটারের উপযোগী করে তৈরি করা ওয়েবসাইটগুলো অন্যান্য ডিভাইসে ঠিকমতো দেখা যেত না। ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং লেখাগুলো ভেঙে ভেঙে প্রদর্শিত হতে লাগলো।

responsive

এই সমস্যা দুর করার জন্য ওয়েব ডেভলপাররা মোবাইলের জন্য সাইটের আলাদা ভার্শন তৈরি করা শুরু করে তা অন্য সার্ভারে বা সাব ডোমেইনে আপলোড শুরু করলেন। এতেও সমস্যার তেমন সমাধান হলো না। কারন সকল মোবাইলের মনিটর এক সমান নয়। তাই একটি সাইট কোনো মোবাইলে ভালো দেখা গেলেও অন্য মোবাইল বা অন্য কোনো ডিভাইসে তা খারাপ দেখা যেত। এই সকল সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে ‘ইথান মারকোট’ নামের একজন রিস্পন্সিভ ওয়েব ডেভলপিং শুরু করেন। এরপর থেকেই রিস্পন্সিভ ডেভলপিং এর জনপ্রিয়তা শুরু এবং বর্তমানে এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে রয়েছে।
রিস্পন্সিভ ওয়েবসাইটের মুল লক্ষ হলো একটি সাইটকে এমনভাবে তৈরি করা যেন সাইটটির সম্ভব্য সর্বোচ্চ মান ভিজিটরের যে কোনো ডিভাইসেই পাওয়া যায়। এই রিস্পন্সিভ ওয়েব ডিজাইনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর জন্য আলাদা সার্ভার এর প্রয়োজন নেই। একটি সার্ভারেই সকল ডিভাইস উপযোগী সাইট তৈরি করা যায়। আর এ জন্য সাইটটির শুধু CSS এ পরিবর্তন করলেই হবে। এর ফলে সাইটটির পেছনে অনেক বারতি খরচই বেঁচে যাবে। তাই রিস্পন্সিভ ওয়েব ডিজাইনের জনপ্রিয়তা এত বেশি।
সাম্প্রতিক সময়ে যে কোনো সাইটকেই রিস্পনিসভ করে ফেলা হচ্ছে। যদি কারও একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট থাকে এবং তা যদি রিস্পন্সিভ না হয় আর আপনার সাইটের মতো আরেকটি সাইট যদি রিস্পন্সিভ করা থাকে তাহলে আপনার সাইটটি সহজেই জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলবে অন্যদিকে সেই সাইটটি ক্রমগত আরও যনপ্রিয় হবে। আর বর্তমানে যে হারে নতুন নতুন সব ইলেক্ট্রনিক্স ডিভইস তৈরি হচ্ছে তাতে ভবিশ্যতে রিস্পন্সিভ ডিজাইনের জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Leave a Reply