শিশুর ক্ষেত্রে যেসব বিষয় লক্ষ্য রাখা জরুরী

124

* বাচ্চার শারীরিক বৃদ্ধি, গড়ন, ওজন তার সমবয়সী বাচ্চার মতো কি না তা দেখতে হবে। কম হলে ডাক্তার দেখানো দরকার। মনে রাখতে হবে, যারা শুধু বুকের দুধ খায় তারা প্রথম তিন-চার মাস সমবয়সী কৌটার দুধ খাওয়া বাচ্চাদের তুলনায় বড় হয়। আবার ছয় থেকে ১২ মাস বয়সে তারা আকৃতিতে কৌটার দুধ খাওয়া বাচ্চাদের চেয়ে একটু ছোট হয়। এটাই স্বাভাবিক। তাই সামান্য ছোট-বড় বা ওজন কম-বেশি নিয়ে একটুও চিন্তার কারণ নেই।

* অনেক মা অভিযোগ করেন তার বাচ্চা খেতে চায় না। প্রকৃতপক্ষে বাচ্চার খেতে না চাওয়া আর মায়ের ভাষায় খেতে না চাওয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে। যদি বাচ্চার ওজন বয়স অনুযায়ী ঠিক থাকে, সে ঠিকমতো খেলাধূলা করে, প্রাণবন্ত থাকে, প্রস্রাব পায়খানা ঠিকমতো করে তাহলে বুঝতে হবে তার খাওয়ার পরিমাণ ঠিক আছে। যদি এগুলোতে কোনো সমস্যা হয় তবে বুঝতে হবে কোনো সমস্যা হচ্ছে-_এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

* যদি শিশু খুব অস্থির ও বিরক্ত থাকে, প্রায়ই অনেকটা সময় কাঁদে, শিশুর ত্বক শুষ্ক ও চুল রুক্ষ হয়, জ্বর থাকে, খেলাধুলায় উৎসাহ বা শক্তি না থাকে, প্রস্রাব-পায়খানা অনিয়মিত হয়, পেট ফুলে যায় তবে ডাক্তার দেখান।

* বহু শিশুর শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার সমস্যা থাকে। এটা বুঝতে খেয়াল রাখুন তার জ্বর আছে কিনা, দুধ খাওয়ার সময় বুকে ঘড়ঘড় শব্দ হচ্ছে কিনা, জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে কিনা, নিঃশ্বাসের সময় বুক ডেবে যাচ্ছে কিনা। এগুলোর উত্তর হ্যাঁ হলে দ্রুত ডাক্তার দেখান।

* অনেক সময় নিউমোনিয়া হলেও অ্যাজমার মতো কিছু লক্ষণ থাকে তাই শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বা নিউমোনিয়া মনে হলে দেরি না করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

* ডায়রিয়া হলে বা পানিশূন্যতা দেখা দিলে ডাক্তার দেখাতে হবে। পানিশূন্যতা বুঝতে লক্ষ্য রাখুন চোখ গর্তে ঢুকে গেছে কি না, ত্বক শুষ্ক হয়ে গেছে কি না, বাচ্চা পানি খেতে অসুবিধা বোধ করছে কি না, বাচ্চা দুর্বল হয়ে পড়েছে কি না, বাচ্চার মাথার খুলির সামনের দিকে কিছু অংশ দেবে গেছে কি না। এ লক্ষণগুলো দেখামাত্র ডাক্তার দেখাতে হবে।

* বাচ্চার পায়খানার সঙ্গে রক্ত গেলে ডাক্তার দেখাতে হবে। আমাশয়, অ্যানাল ফিশার, পলিপ ইত্যাদি কারণে রক্ত যেতে পারে।

Leave a Reply