শীতের সবজি বাজারে শিম এসে পড়েছে বেশ কিছু দিন আগেই। তবে স্বাদের সবজি হওয়ায় সারা দেশেই বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় এটি। বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুর নাহার বলেন, শিমে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। আর ত্বকের রুক্ষতা ও শুষ্কতা প্রতিরোধে এই সবজি উপকারী।
শিম কীভাবে রোগের বিরুদ্ধে লড়ে, আসুন জেনে নেওয়া যাক।
হৃদ্রোগীদের জন্য: যাঁরা নিয়মিত শিম খান, তাঁদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে। এতে থাকা ফাইটোকেমিক্যালস হৃৎপিণ্ডকে সুরক্ষা দেয়।
ক্যানসার প্রতিরোধ: ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অসাধারণ একÿক্ষমতা আছে শিমে। এতে ইসোফ্লাবোনেস, ফাইটোস্টেরলসের মতো ক্যানসার-প্রতিরোধী উপাদান থাকে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে: এই সবজির পাচক আঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর স্যাপোনিনস রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রাখে।
ওজন কামতে: শিমের আঁশ দ্রুত ভরে ফেলে পাকস্থলী। এ ছাড়া রক্তে চিনি আসার পারিমাণও কমিয়ে রাখে। শরীরকে শক্তি দেয়। অন্যদিকে, ওজন বাড়তে বাধা দেয়।
ডায়াবেটিস সুরক্ষায়: শর্করা ও চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস বশে রাখারÿক্ষমতা আছে।
অস্থিসন্ধির জন্য: হাড়ের সংযোগস্থলের সুরক্ষা দেয় এবং অস্ট্রিও আথ্রাইটিস রোগ হওয়ার শঙ্কা কমায়।
এ তো গেল সব ভালো কথা। শিমের মন্দ দিকও আছে। আখতারুর নাহার এ বিষয়ে আরও কিছু তথ্য দেন।
কারও কারও শিম খেলে মাইগ্রেনের তীব্রতা বাড়তে পারে। মাথাব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া শরীরে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে শিম খাওয়া বাদ দিতে হবে।
যাঁরা বিষণ্নতার জন্য মনো-অ্যামাইন অক্সিডেস ইনহিবিটর খান, তাঁদের জন্য শিম বাদ দেওয়াই ভালো। এই সবজির উপাদান এসব ওষুধের সংস্পর্শে এসে রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে।
