গ্যাস্ট্রিক আমাদের সকলেরই খুব পরিচিত একটি সমস্যা। গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় অনেক মানুষই ভুগে থাকেন। এর লক্ষণগুলো হল পেটে জ্বালা-পোড়া করা, বদহজম, বমি বমি ভাব , বমি করা, পেটে ক্ষুধা, ক্ষুধা হ্রাস পাওয়া, খাওয়ার পর উপরের পেট বেশি ভরে গিয়েছে অনুভূতি হওয়া ইত্যাদি। এই সমস্যাটা সাধারণত হয়ে থাকে সঠিক সময়ে খাওয়া দাওয়া না করার কারণে। আমার অনেকেই সকালের নাস্তা খাইনা বা খেলেও দেরি করে খাই। কোন খাবার সময়মতো খাওয়া হয়না, বাইরের ভাজা-পোড়া বেশি খাওয়া, জাঙ্কফুড খাওয়া, পরিমাণ মতো পানি না খাওয়া ইত্যাদি কারণে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা দেখা দেয়। তাই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে জেনে রাখুন কিছু ঘরোয়া উপায়।
আদা
আদাতে আছে এমন কিছু উপাদান যা গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় জ্বালাপোড়া হলে তা রোধ করতে সাহায্য করে। আদা খেলে বমি সমস্যা, বদ হজম, গ্যাস হওয়া কমে যায়।
১। আদা কুচি করে পানি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ১০ মিনিট ডেকে রাখুন, এরপর সামান্য মধু মিশিয়ে চায়ের মতো বানিয়ে নিন। এই পানীয়টি দিনে ২/৩ বার পান করুন উপকারিতা পেতে।
২। আদার রসের সাথে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। দুপুরে ও রাতে খাওয়ার আগে এটি খেয়ে নিন।
৩। আপনি চাইলে আস্ত আদা ধুয়ে কেটে চিবিয়েও খেতে পারেন।
দই
দই ডায়েট করার জন্য উত্তম খাবার, বিশেষ করে যখন কারো গ্যাস্ট্রিক হয়ে থাকে দই খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। দই আমাদের পাকস্থলীকে ‘ এইচ পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া’ থেকে রক্ষা করে যা গ্যাস্ট্রিক হওয়ার অনতম কারণ। তাছাড়া দই আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
১। প্রতিদিন ২/৩ চামচ দই খেয়ে নিন।
২। আপনি চাইলে কলা, দই ও মধু একসাথে পেস্ট করে খেতে পারেন দ্রুত গ্যাস্ট্রিক সমস্যা রোধ করার জন্য।
আলুর রস
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা রোধ করার অন্যতম ভাল উপায় হল আলুর রস। আলুর অ্যালকালাইন উপাদান গ্যাস্ট্রিক সমস্যার লক্ষণগুলো রোধ করে থাকে।
১। একটি বা দুটো আলু নিয়ে গ্রেট করে নিন।
২। এর গ্রেট করা আলু থেকে রস বের করে নিন।
৩। এরপর আলুর রসের সাথে গরম পানি মিশিয়ে নিন।
৪। এই পানীয় দিনে ৩ বার পান করুন। প্রতি বেলায় খাবার ৩০ মিনিট আগে খেয়ে নিন আলুর রস। তবে অন্তত ২ সপ্তাহ পান করুন এই পানীয়।