ব্রেকফাস্ট হিসেবে পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে ওটমিল একটি পরিচিত নাম।স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ওটমিলের অবদানের কারণে এটি আমাদের দেশে ও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে । আসুন জেনে নেই এর কিছু স্বাস্থ্যকর দিক-
-
কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করেঃ
ওটমিলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা শরীরের Low density lipoprotein (LDL) (ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নামে পরিচিত) এর পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি High density Lipoprotein (HDL) (উপকারী কোলেস্টেরল) এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে। ফলে এটি উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে খুবই উপযোগী।
-
কোষ্টকাঠিণ্য দূর করতে সাহায্য করেঃ
ওটমিলের ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে,মলের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং কোষ্টকাঠিন্য দূর করে।
-
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ
ওটমিল পাকস্থলী গিয়ে ফোলে। ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। হজমে সহায়তা করে। শরীরে কোলেস্টেরল কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
-
ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে ও ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ
ওটমিল রক্তের চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। সপ্তাহে ৫-৬ বার ওটমিল গ্রহণ টাইপ-২ ডায়াবেটিস ৩৯% নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
- মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেঃ
ওটমিলের হোল গ্রেইন্স পোষ্ট-মেনোপজাল মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
টিপস –
চুলায় ফুটানো গরম পানিতে পরিমাণ মতো ওটমিল নিয়ে ৫-১০ ফুটান। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন। স্বাদের জন্য এতে সামান্য লবণ যোগ করতে পারেন। চাইলে নানা রকম মশলা যোগ করে তৈরি করতে পারেন ওটসের খিচুড়ি। অথবা ওটমিলে ননি বিহীন দুধ ও তাজা ফল যোগ করেও খেতে পারেন।
ওটমিল পাবেন আগোরা বা মিনা বাজারের মত সুপারসপ গুলোতে।
আপনার প্রতিদিনের রুটিনে যোগ করুন ওটমিল। প্রিয়জনদের নিয়ে সুস্থ থাকুন ।