অতি-প্রাচীন সৌরজগৎ আবিষ্কার

২০০৯ সাল থেকে নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ হাজারেরও বেশি এক্সোপ্ল্যানেট এবং প্রায় ৪,২০০ এক্সোপ্ল্যানেট “ক্যান্ডিডেট” খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছে, খুঁজে বের করেছে আস্ত কিছু সৌরজগতও। কিন্তু পৃথিবী থেকে ১১৭ আলোকবর্ষ দূরে পাওয়া এই সৌরজগৎ অন্য সবার চাইতে আলাদা।

নতুন খুঁজে পাওয়া এই সৌরজগতে রয়েছে মোটামুটি পৃথিবীর মতো আকৃতির পাঁচটি পাথুরে গ্রহ। এরা প্রদক্ষিণ করে চলেছে Kepler-444 নামের এক তারকা। এর বয়স ১১.২ বিলিয়ন বছর- সূর্যের দ্বিগুণ।

ঠিক কোন সময়ে পৃথিবীর মতো গ্রহগুলোর সৃষ্টি হতে থাকে, তা নির্ণয়ে গবেষকদের সাহায্য করতে পারে Kepler-444। এমন দূর সৌরজগতে প্রাণের উপস্থিতি নিয়ে গবেশনাতেও তা কাজে লাগতে পারে। ১৩.৮ বিলিয়ন বছরের মাঝেই মহাবিশ্বের এ সব গ্রহ গঠিত হয়। এর মাঝে কোনো এক সময়ে কোনো এক গ্রহে প্রাণের উদ্ভব ঘটে থাকতে পারে।

চার বছর ধরে কেপলারের সংগ্রহ করা তথ্য বিশ্লেষণ শেষে এই সুপ্রাচীন সৌরজগৎ খুঁজে পাওয়া যায়। তারা ব্যবহার করেন Asteroseismology নামের এক প্রক্রিয়া, যাতে ওই তারকার উজ্জ্বলতায় ছোটখাটো পরিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে এর ভর, বয়স এবং ব্যাস বের করা হয়।একে প্রদক্ষিণ করা গ্রহদের শনাক্ত করা হয় Transit Photometry প্রক্রিয়া ব্যবহার করে। তবে এসব গ্রহ Kepler-444 কে খুব কাছে থেকে প্রদক্ষিণ করছে, অর্থাৎ এখানে পৃথিবীর মতো তরল পানি এবং প্রাণের উপযোগী পরিস্থিতি থাকার সম্ভাবনা নেই। তবে এই সউরজগতে প্রাণের উপস্থিতি না থাকলেও এর মতো প্রাচীন অন্য কোনো সৌরজগতে থাকতেই পারে। আর প্রাচীন সেসব সৌরজগতে বুদ্ধিমান প্রাণী থাকলে তাদের প্রযুক্তিও হতে পারে আমাদের চাইতে অনেক বেশি অগ্রসর।

Leave a Reply