ওষুধের ক্ষতিকর দিক

148

রোগ হলে আমরা ডাক্তারের কাছে যাই। ডাক্তার ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। সে ওষুধ খেয়ে আমাদের রোগও সারে। কিন্তু অনেক ওষুধ আমাদের ঠেলে দেয় অপুষ্টির দিকে। ওষুধের কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে।

সে জন্য ওষুধ সেবনের বেলায় কিছু বিষয়ের ওপর আমাদের নজর রাখতে হবে। তেমনি কিছু বিষয়েরই উল্লেখ করা হলো এখানে।

স্ট্যাটিন :

এগুলো কোলেস্টেরলের মাত্রা নামিয়ে দেয়। সেই সাথে কমিয়ে দেয় ‘কোএনজাইম কিউ১০’। এটি ফ্যাটে দ্রবণীয় একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা পেশিশক্তি ব্যবহারে সহায়তা করে। এটি রক্তচাপ কমায়। হার্টের সার্বিক কার্যক্ষমতা বাড়ায়। রিপ্লেনিশ কোকিউ১০ মজুদ থাকে চর্বিযুক্ত মাছে, গোশত ও শস্যকণায়।

টাইপ২ ডায়াবেটিস রোগীর মুখে খাওয়ার ওষুধ :

টাইপ২ ডায়াবেটিস রোগীর চিচিৎসার জন্য ওরাল ড্রাগ হিসেবে পথম পছন্দ হচ্ছে মেটফরমিন। এই ওষুধ সেবনের ফলে শরীরে ভিটামিন বি-১২-এর মাত্রা কমে যেতে পারে।

প্রাণিজ খাবার গোশত, ডিম, দুধ, মাছ হচ্ছে ভিটামিনের ভালো উৎস। বেশি বয়সী লোকদের উচিত সাধারণ চিকিৎসক দিয়ে দেহের ভিটামিন মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা।

অ্যাসিড ব্লকার :

প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর খুবই উপকারী আলসার ও গ্যাস্ট্রো-ওইসপ্যাগাল রিফলাক্স রোগের চিকিৎসায়। কিন্তু এটি ভিটামিন বি-১২ ও ক্যালসিয়াম বিশোষণের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। বিভিন্ন ধরনের খাবারে প্রচুর ভিটামিন বি-১২ ও ক্যালসিয়াম থাকে। এসব খাবার খেয়ে এর ঘাটতি ভালোভাবেই পূরণ করা যায়।

তবে প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবহার করলে পরিপূরক ওষুধ ব্যবহার করা দরকার এ পরামর্শ সিনিয়র ফার্মেসি লেকচারার ড. মার্ক নাউনটনের।

ওজন কমানোর ওষুধ :

ওরলিস্টেন্ট চর্বি বিশোষণের মাত্রা ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। কিন্তু এর সাথে তা ফ্যাট-সলিউবল অর্থাৎ চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিনের মাত্রাও কমিয়ে দিতে পারে। ড. মার্ক নাউনটন বলেন, ফ্যাট-সলিউবল ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘন সবুজ পাতাময় সবজি, গাজর, ডিমের কুসুম, খুবানি ফল ও শস্যদানায় এসব ভিটামিন পাওয়া যায়।

অ্যান্টিবায়োটিক :

অ্যন্টিবায়োটিক মন্দ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক লাজু আনটেস্টাইনে উপকারী ব্যাকটেরিয়াকেও ধ্বংস করে দিতে পারে। এর ফলে ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। ড. মার্ক নাউনটন বলেন, এমন সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে যে প্রোবায়োটিকস সুরক্ষা দিতে পারে অ্যান্টিবায়োটিক-সংশ্লিষ্ট ডায়রিয়া।

এ ছাড়া প্রকোপ কমাতে পারে ভয়াবহ ডায়রিয়ার। ওষুধ নির্বাচনের বেলায় প্রোবায়োটিকের ডোজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ ক্ষেত্রে সাধারণ চিকিৎকের পরামর্শ নেয়া দরকার।

Leave a Reply