চল্লিশের পর সফল হয়েছেন যে ২০ ব্যক্তিত্ব

মানুষ বিশের কোঠায় পা দিয়ে ভবিষ্যত দেখার চেষ্টা করেন এবং একে যতটা উজ্জ্বল করে তোলা যায় তার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিরিশের কোঠায় গিয়ে নিজের পরিস্থিতি ও জীবন নিয়ে উপলব্ধি আসে তাঁর মাঝে। অবস্থার উন্নতি না হয়ে হতাশা ছেয়ে যায়। কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। পৃথিবীতে আজ যাদের দেখে আপনি বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন, তাদের অনেকেই চল্লিশের পর সফলতার চেহারা দেখেছেন। এখানে জানুন এমনই ২০ জন সফল ব্যক্তিত্বের কথা যারা চল্লিশের আশপাশে সফল হয়েছেন।

 
চল্লিশের পর সফল হয়েছেন যে ২০ ব্যক্তিত্ব

১. স্ট্যান লির প্রথম যে কমিক বুকটি হিট হয় তার নাম ‘দ্য ফ্যান্টাস্টিক ফোর’। তখন তিনি নিজের ৩৯তম বার্ষিকী উদযাপন করছেন। এর কয়েক বছরের মধ্যে তিনি কিংবদন্তির মার্ভেলের দুনিয়া গড়ে তোলেন যেখান থেকে আমরা স্পাইডার ম্যান আর এক্স-ম্যানদের পেয়েছি।

 

 
চল্লিশের পর সফল হয়েছেন যে ২০ ব্যক্তিত্ব

২. ১৯৯২ সালে হ্যারি হেভিন প্রথম তার ‘কার্ভ ফিটনেস সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ক্রমশ বিশাল আকার ধারণ করে। তখন তার বয়স ৪০ বছর।

 

 
চল্লিশের পর সফল হয়েছেন যে ২০ ব্যক্তিত্ব

৩. একজন স্কেটার হিসেবে ৪০ বছর বয়সে খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন ভেরা ওয়াং। আজ তিনি ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার ওমেনস ডিজাইনার।
৪. স্যামুয়েল জ্যাকসন ১৯৯১ সালে তার ৪৩ বছর বয়সে ‘জঙ্গল ফিভার’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথম পু্রষ্কার অর্জন করেন।
৫. হেনরি ফোর্ড তার যুগান্তকারী ‘টি মডেল কার’ বানান ৪৫ বছর বয়সে।

 

 
চল্লিশের পর সফল হয়েছেন যে ২০ ব্যক্তিত্ব

৬. জ্যাক ওয়িল ৪৫ বছর বয়সে কাউবয় এর পোশাককে জনপ্রিয় করে তোলেন। নিজের ‘রক মাউন্ট র‍্যাঞ্চ ওয়ার’ প্রতিষ্ঠানের সিইও ছিলেন ১০৭ বছর বয়স পর্যন্ত।

 

 
চল্লিশের পর সফল হয়েছেন যে ২০ ব্যক্তিত্ব

৭. রডনি ড্যাঞ্জারফিল্ড ইতিহাসের একজন কৌতুক অভিনেতা হিসেবে উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন। এ অবস্থান ৪৬ বছর বয়সের আগে তৈরি করতে পারেননি তিনি ।
৮. ১৯৫৮ সালে মোমোফুকি আন্দো যখন জাঙ্ক ফুডের দুনিয়া গড়ে তোলেন, তখন তার বয়স ৪৮।
৯. একজন নিউরোলজিস্ট হিসেবে সারা জীবন কাটিয়ে ৫০ বছর বয়সে ১৮৫৯ সালে ‘অরিজিন অব স্পেসিস’ তত্ত্ব’ এর মাধ্যমে সফলতা লাভ করেন।
১০. জুলিয়া চাইল্ড তার প্রথম রান্নার বই লিখেন ৫০ বছর বয়সে। এর পরই তিনি হন সেলিব্রিটি শেফ।
১১. জ্যাক কভার একজন বিজ্ঞানী হিসেবে নাসা এবং আইবিএম এর মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ করে ৫০ বছর বয়সে টেজার গান আবিষ্কার করেন। আর এর পরই তিনি হয়ে ওঠেন সফল।
১২. টিম এবং নিনা জাগাট প্রথম রেস্টুরেন্ট রিভিউ নিয়ে প্রথম বই প্রকাশ করে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। এই সফলতা যখন আসে তখন দুজনেরই বয়স ৫১ বছর।
১৩. রে ক্রক মিল্কশেক তৈরির যন্ত্র বিক্রি করেই জীবন কাটিয়ে দেন। ১৯৮৪ সালে ৫২ বছর বয়সে ‘ম্যাকডোনাল্ড’ কেনার পরই পৃথিবীর সবেচেয়ে বড় ফাস্ট ফুড ফ্রাঞ্চাইজের মালিক হন।
১৪. টাইকিচিরো মোরি ৫১ বছর বয়সে তার মোরি বিল্ডিং কম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯২ সালে তিনিই ছিলেন বিশ্বের এক নম্বর ধনী।
১৫. ওয়েলি ব্লুমে ডেইরি ব্যবসা করতেন। তবে ৫৭ বছর বয়সে ১৯৯৫ সালে ‘ডেনালি ফ্লেভারস’ আইসক্রিম কম্পানি প্রতিষ্ঠার পর ধনী হন তিনি।
১৬. লরা ইনগালস ওয়াইলডার ৬৫ বছর বয়সে তার শিক্ষিত বোনকে দিয়ে ছোট ছোট গল্প লিখাতেন। ১৯৩২ সালে ‘লিটল হাউজ’ লেখার পরই টেলিভিশনে আসে ‘লিটল হাউজ অন দ্য প্রেইরি’।
১৭. হারল্যান্ড স্যান্ডারস ১৯৫২ সালে কেন্টাকি ফ্রাইড চিকেন প্রতিষ্ঠা করেন। তখন তার বয়স ছিল ৬২ বছর।
১৮. অ্যানা মারি রবার্টসন মোসেস প্রোলিফিক পেইন্টিং শুরু করেন ৭৮ বছর বয়স থেকে। ২০০৬ সালে তার একটি ছবি ১.২ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়।
১৯. হ্যারি বার্নস্টেইন ৯৬ বছর বয়সে ‘দ্য ইনভিজিবল ওয়াল : আ লাভ স্টোরি ট্যাট ব্রোক ব্যারিয়ারস’ লিখে বিখ্যাত হন।
২০. বিখ্যাত ফ্রেঞ্চ দার্শনিক জিন-ফ্রাঙ্কোইস রেভেলে ছেলে ম্যাথু রিকার্ডো বুদ্ধের শান্তির পথ ধরেছেন চল্লিশের পর আর তখন থেকেই তিনি বিখ্যাত।

Leave a Reply