ত্বকের যত্নে আমাদের প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা!

ত্বক সুন্দর রাখা নিয়ে অনেক ভুল ধারণা আমাদের মনের মধ্যে গেঁথে রয়েছে। বিশেষ করে ত্বকের পরিচর্যা ও প্রসাধনী ব্যবহার নিয়ে। এই ভুল ধারণাগুলোর জন্য নিজের অজান্তেই ক্ষতি করে ফেলি ত্বকের। জেনে নিন এমনই কিছু ভুল ধারণা সম্পর্কে।

ব্লিচ ব্যবহারে ত্বক ফরসা হয়
ব্লিচ ব্যবহার করলে আপনার ত্বক ফরসা হয়ে যাবে এই ধারণা মোটেও ঠিক নয়। ব্লিচ শুধু ফেসিয়াল হেয়ার ডি পিগমেন্ট করে, মেলানিন কম রাখে। এছাড়া ব্লিচ করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।

ত্বকের ওপর সরাসরি সানব্লক লাগানো যায়
ত্বকের ওপর সরাসরি সানব্লক ক্রিম লাগালে ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ত্বক ও সূর্যরশ্মির মধ্যে সানব্লক সুরক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। সানব্লক যাতে ত্বকের রোমকূপ বন্ধ করে না দেয়, তাই বেস হিসেবে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। তারপর সানব্লক ক্রিম লাগান। এতে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া প্রতিরোধ হবে ও ত্বকের পোড়াভাব দূর হবে।

সানস্ক্রিন থেকে ব্রণের সমস্যা হয় না
সানস্ক্রিন থেকে ব্রণের সমস্যা হতেই পারে। আর যদি হয় তাহলে বুঝবেন আপনার ত্বক সানস্ক্রিনের কোনো উপকরণের প্রতি স্পর্শকাতর। তাই সানস্ক্রিন কেনার আগে উপকরণ ভালো করে পড়ে নিন।

স্ক্রাব জোরে ঘষলে ত্বক পরিষ্কার হয়
ক্লেনজার স্ক্রাব দিয়ে জোরে ঘষলে ত্বক আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অ্যাকনে প্রবণ ত্বকের পক্ষে জোরে ঘষলে ত্বকের সমস্যা আরো বেড়ে যায়। জোরে ঘষলে অ্যাকনের ইনফেকশন ত্বকের অন্যান্য টিস্যুর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন নেই
তৈলাক্ত বা অ্যাকনে প্রবণ ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করল সমস্যা আরো বাড়তে পারে এটা ভেবে অনেকে একেবারেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন না। এটা একেবারে ঠিক নয়। সুন্দর ত্বকের জন্য প্রয়োজন আর্দ্রতা ও সুরক্ষা। যথাযথ সুরক্ষা না থাকলে দূষণ, ফ্রি র্যাডিকালস ও অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান থেকে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তবে কতটা পরিমাণে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। কারণ অতিরিক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারে আবার ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

সকালে ত্বক পরিষ্কার করার দরকার নেই
অনেকেই ভাবেন রাতে ঘুমানোর আগে ত্বক পরিষ্কার করলে সকালে আর ত্বক পরিষ্কার করার দরকার নেই। কিন্তু রাতারাতি ত্বকের মধ্যে তেল, সেবাম, মৃতকোষ, ব্যাকটেরিয়া জমে যায়। এ থেকে ত্বকে ব্ল্যাকহেডস ও ত্বক ফাটার সমস্যা হতে পারে। সকালে ঠিকমতো ত্বক পরিষ্কার করলে এ ধরনের ঝুঁকি কমে যায়।

Leave a Reply