ত্বকের যত্নে কিছু হারবাল টোনার তৈরীর পদ্ধতি

সৌন্দর্যচর্চার একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো টোনিং। আপনার ত্বক পরিষ্কার করার পর এর উপর জমে থাকে বাড়তি তেল, কিছু ময়লা এবং পরিষ্কারক উপাদান। যা আপনার ত্বককে আবদ্ধ করে ফেল। এগুলো পরিষ্কার না করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে গিয়ে তৈরী হতে পারে ব্ল্যাক হেডস্‌ এবং আরো অনেক জটিলতা। বাজারে বিভিন্ন রকম স্কিন টোনার পাওয়া যায়। এগুলো দামের দিক থেকেও বেশি তো বটেই আর সিন্থেটিক হওয়ার কারণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে। তবে আশার কথা হলো আপনি ঘরে বসেই প্রাকৃতিক কিছু উপাদান দিয়ে সহজেই টোনার তৈরী করে আপনার মুখ ও ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন নিরাপদে।

আসুন জেনে নিই কিছু হারবাল টোনার তৈরীর পদ্ধতি।

১. আধা কাপ দইয়ের সাথে একটি শশা থেতো করেমিশিয়ে মুখে ৫-১০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই টোনারটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই উপযোগী। এটি ফ্রিজে রেখে অনেক দিন ব্যবহার করতে পারবেন।

২. এক লিটার গরম পানিতে এক কাপ পুদিনা পাতা চুবিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। ঠান্ড হলে মিশ্রণটিকে ছেকে তুলার সাহায্যে ত্বকে ব্যবহার করুন।

৩. চার চা চামচ গোলাপজল, এক চা চামচের তিনভাগের এক ভাগ ফিটকিরি এবং ১০০ গ্রাম গ্লিসারিন একসাথে মিশিয়ে তৈরী করুন টোনার। এটি স্বাভাবিক ও মিশ্র ত্বকের জন্য খুবই উপযোগী।

৪. সমপরিমাণ ভিনেগার ও গোলাপ জল মিশিয়ে তৈরী করতে পারেন টোনার। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে খুবই উপযোগী।

৫. ঠান্ডা পানি স্কিন টোনার হিসাবে খুবই উপযোগী। মুখ ধোয়ার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখে ম্যাসাজ করলে ত্বক নমনীয় ও কোমল হয়।

৬. ব্লেন্ডারে একটি আপেল এর সাথে এক চামচ মধু দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। এটি টোনার হিসাবে ত্বকে প্রয়োগ করে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলে আবিষ্কার করুন নিজের নতুন উজ্জ্বলতা ।

৭. তিন চামচ টমেটোর রস এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে তৈরী করুন সব ধরনের ত্বকের উপযোগী ন্যাচারাল টোনার।

Leave a Reply