ভিন্ন রোগের একই ধরনের লক্ষণ, রোগগুলো চিনে নিন

প্রত্যেক রোগের ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণ রয়েছে। তবে কিছু সমস্যার লক্ষণের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য করা যায় না। তাই অনেক সময়ই দেখা যায়, রোগ হয়েছে একটা, কিন্তু চিকিৎসক মনে করছেন অন্যটা। ওয়ান বিএমজে স্টাডিতে বলা হয়, আমেরিকায় প্রতি ২০ জনের মধ্যে একজনের রোগ নির্ণয়ে ভুল হয়ে যায়। এখানে জেনে নিন এমনই কিছু রোগের কথা। এগুলো নির্ণয়ে প্রায়ই ভুল হয়ে যায় চিকিৎসকদের।

১. বিষণ্নতা বনাম নিদ্রাহীনতা :
নতুন এক গবেষণায় বলা হয়, আমেরিকায় নিদ্রাহীনতায় আক্রান্ত ৭৩ শতাংশ রোগীর রোগ নির্ণয়ে ভুল করেন চিকিৎসকরা। এদের বিষণ্নতা হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। একটা রাত ঘুমহীন কাটালে পরের দিনটা বিষণ্ন যায়। মন-মেজাজ ভালো না থাকা এবং ভালো না লাগা বিষণ্নতার লক্ষণ। অথচ এটা নিদ্রাহীনতার কারণেই ঘটেছে। রোগীর ব্যাখ্যাতেও ভুল বুঝতে পারেন চিকিৎসকরা। মূলত বিষণ্নতায় আক্রান্তরা দুঃখভারাক্রান্ত থাকে। নৈরাশ্যবাদে ছেয়ে থাকে মন।

২. আইবিএস বনাম সেলিয়াক ডিজিস :
আমেরিকার দ্য ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর সেলিয়াক অ্যাওয়ারনেস জানায়, সেলিয়াক ডিজিসে আক্রান্ত ৮৩ শতাংশ রোগীর লক্ষণকে আইবিএস বলে গণ্য করেন চিকিৎসকরা। সেলিয়াক এমন এক রোগ যা সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে ৬-১০ বছর লেগে যেতে পারে।

৩. মাইগ্রেন বনাম স্ট্রোক :
কথা বলতে সমস্যা হচ্ছে, দৃষ্টি ঘোলাটে এবং মাথাব্যথার অনেক ক্ষেত্রেই মনে করা হয় যে, এটা মাইগ্রেনের লক্ষণ। অন্তত কম বয়সীদের ক্ষেত্রে এটাই মনে করা হয়। অথচ ১৬-৫০ বছর বয়সীদের মধ্যে স্ট্রোকের কারণেও একই লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। স্ট্রোক যেকোনো বয়সে ঘটে যেতে পারে।

৪. রিউমিটয়েড আরথ্রাইটিস বনাম ফাইব্রোমায়ালজিয়া :
হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা নিয়ে ৫২ লাখেরও বেশি আমেরিকান আরথ্রাইটিসের চিকিৎসা নিতে যান। চিকিৎসকরাও লক্ষণ দেখে একই রোগ চিহ্নিত করেন। কিন্তু ফাইব্রোমায়ালজিয়া রোগের ক্ষেত্রেও একই লক্ষণ প্রকাশ পায়। এর সঙ্গে যোগ হতে পারে মাথাব্যথা, ঘুমে সমস্যা এবং অস্বস্তিবোধ।

৫. মাল্টিপল ক্লোরোসিস বনাম লাইমে ডিজিস :
অবসাদ, মাথাব্যথা, পেশি এবং সংযোগস্থলে ব্যথা ক্লোরোসিস এবং ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ রোগ লাইমে ডিজিসের লক্ষণ একই ধরনের। এ রোগে আক্রান্ত ৭৬ শতাংশ নারীদের মাল্টিপল ক্লোরোসিস হয়েছে বলে ভুল ধারণা করা হয়।

Leave a Reply