সোয়াইন ফ্লু মারারত্মক ঝুঁকিতে হিলি স্থলবন্দর

ভারতে সোয়াইন ফ্লু ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ায় এই আশঙ্খা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে পার্শবর্তী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে সোয়াইন ফ্লু রোগ দেখা দেয়ায় এই আশঙ্খার মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
এদিকে সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে হিলি স্থলবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে কর্তৃপক্ষ। ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের মাধ্যমে এই ভাইরাস যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেই লক্ষ্যে এই সতর্কতা জারিকরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইমিগেশন কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহৎতম হিলি স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে প্রতিদিন শত-শত যাত্রী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে। ভারত থেকে আসা যাত্রীদের মাধ্যমে সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে সে লক্ষ্যে ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে তিন সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে বলে জানান এই টিমের প্রধান ও হাকিমপুর উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মোস্তফা আবু হেনা উজ্জল।
তিনি বলেন, ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের প্রাথমিক শারীরীক পরীক্ষা-নিরিক্ষা ছাড়াও এই ভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের প্রথমিক শারীরীক পরিক্ষা-নিরিক্ষা করা হলেও পরীক্ষা করা হচ্ছে না ভারত থেকে আমদানীকৃত পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালক ও হেলফারদের। ফলে এসব চালক-হেলফারদের মাধ্যমে সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস যে কোন সময় দেশে প্রবেশ করার আশঙ্খা করছেন স্থানীয়রা।
জানাগেছে, এবছরের ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ভারতে সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১৬ হাজার ২৩৫ জন মানুষ। এপর্যন্ত ৯৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ১১৫ জন মানুষের শরীবে সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস পাওয়া গেছে আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানাগেছে।
এছাড়াও ভারতের মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, রাজস্থান, কর্ণাটক, হরিয়ানা, তেলেঙ্গাসহ বিভিন্ন রাজ্যে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস। মৃত্যুও ঘটেছে শত-শত মানুষের।
হিলি স্থলবন্দর দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ স্থলবন্দর হওয়ার সুবাদে প্রতিদিন এই স্থলবন্দর দিয়ে দেড়শ থেকে ২শতাধিক ট্রাক আমদানীকৃত পণ্য নিয়ে ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করছে। এরপরও  সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত রাজ্য গুলো থেকে আসা ট্রাক চালক-হেলফারদের শারীরীক পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হচ্ছে না। কোন রকম পরীক্ষা-নিরিক্ষা ছাড়াই তারা অনায়াসে দেশে প্রবেশ করছে এবং বন্দরের হাজর-হাজার মানুষের সংস্পর্শে আসছে। এঅবস্থায় স্থানীয়রা মনে করছেন এসব রাজ্য থেকে আসা ট্রাক চালক ও হেলফারদের মাধ্যমে আমাদের দেশেও এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোন নির্দেশনা না থাাকায় তারা ট্রাক চালক-হেলফারদের শারীরিক পরীক্ষা নিরিক্ষা করা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
এবিষয়ে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের অফিসার ইন চার্জ রফিকুজ্জমান জানান, ভারত থেকে পাসপোর্টে আসা যাত্রীদের প্রাথমিক শারীরীক পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা হলেও নির্দেশনা না থাকায় ভারত থেকে আমদানীকৃত পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালক ও হেলফারদের শারীরীক কোন পরীক্ষা নিরিক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি মনে করেন এবিষয়ে কাষ্টমস বা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিতে পারেন।

Leave a Reply