আমাদের মাঝে কিছু মানুষ আছেন যারা খুবই শৌখিন। মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ হওয়ার পর তারা জীবন আর তার আশপাশটাকে সাজাতে চান সুন্দর কিছু দিয়ে। যেটা তাদের আশপাশের মানুষের নজর কাড়ে। আর এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, একেক মানুষের একেক রকম শখ। ঠিক তেমনি একটি শখের জিনিস হলো, অ্যাকুরিয়াম। কিন্তু একটা সুন্দর মাছের জন্য সু-স্বাস্থ্যকর অ্যাকুরিয়াম মেইনটেন করতে হলে সেটার পেছনে অনেক শ্রম দিতে হবে। এছাড়াও আপনাকে হতে হবে ধৈর্যশীল। যারা বাড়িতে অ্যাকুরিয়ামে মাছ পোষেন তাদের মধ্যে বড় একটা অংশ একসময় হোপলেস হয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। তখন সেই ভাঙা অ্যাকুরিয়ামের জায়গা হয় বাড়ির স্টোররুমে বা গ্যারেজের কোনায়। তবে দীর্ঘদিন ধরে আগ্রহ ও ধৈর্য বজায় রাখাটাও অনেক সময় টাফ হয়ে যায়। কারণ, বেশিরভাগই মানুষ অ্যাকুরিয়ামের ব্যাপারে সঠিক তথ্য পায় না। অনেকটা বেসিক সেন্সের উপর ভিত্তি করে মাছ পোষেন অ্যাকুরিয়ামে। শেষে মাছ অসুখে মারা যায়। যখন অ্যাকুরিয়াম কেনার সিদ্ধান্ত নেবেন তখন প্রথমেই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার ঘরের মাপ। কারণ বেশি বড় বা বেশি ছোট অ্যাকুরিয়াম আপনার ঘরে বেমানান লাগতে পারে। ধরে নিলাম একটি সাধারণ ঘরের মাপ হতে পারে ১০ ফুট বাই ১৫ ফুট। আর তাই এই ধরনের রুমে ২ ফুট বাই ১ ফুট বা ২.৫ ফুট বাই ১.৫ ফুট অ্যাকুরিয়ামই আদর্শ। কাচের পুরুত্ব এখানে একটা ব্যাপার। তবে বড় অ্যাকুরিয়ামের ক্ষেত্রে পুরু কাচ নেওয়াটাই ভালো। অ্যাকুরিয়ামে রাখার জন্য অনেক রকম মাছ পাওয়া যায়। গোল্ড ফিশ, অ্যাঞ্জেল ফিশ, ডিসকাস, ক্যাটফিশ, টেট্রা, শার্ক, সিচাইল্ড, অস্কার, বার্ব, গাপ্পি, রেইনবো ফিশ, পাফার ফিশ, সার্ডটেইল, স্ক্যাভেঞ্জারসহ আরও কত মাছ! মজার ব্যাপার হলো একেকটা মাছের শত শত প্রজাতি আছে। প্রতিটির ভিন্ন ভিন্ন রং এবং আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। বিক্রেতার সাথে পরামর্শ করে জেনে নিন এক অ্যাকুরিয়ামে একসাথে কোন কোন মাছ থাকতে পারে, তাদের খাদ্যাভ্যাস এবং সাধারণ যত্নাদি। অ্যাকুরিয়ামের যত্নের জন্য কিছু তথ্য আপনার জানা থাকা দরকার। এ বিষয়ে আপনাকে সাহায্য করবেন মাছ বিক্রেতা নিজেই। কতদিন পরপর পানি পরিবর্তন করতে হবে, পানি পরিবর্তনের সময় কী কী মেডিসিন-ভিটামিন দিতে হবে, লবণ কী পরিমাণ দিতে হবে ইত্যাদি জেনে নিন। অ্যাকুরিয়ামে অনেক শ্যাওলা জন্মে তাই সাকার মাউথ ক্যাট ফিশ অ্যাকুরিয়ামে রাখলে শ্যাওলা জমে যাওয়া থেকে মুক্তি পাবেন।