ছয়টি উপায়ে বাড়িয়ে নিন মোবাইল ফোনের ব্যাটারি লাইফ

ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া সমস্যায় মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীমাত্রই পড়েন। এ লেখায় থাকছে মোবাইল ফোনের চার্জ বাড়ানোর কয়েকটি উপায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে সিনেট।
১. ডিসপ্লে ব্রাইটনেস
মোবাইল ফোনের স্ক্রিন যত বড় ও উজ্জ্বল হচ্ছে, ততই বাড়ছে এ চার্জ কম থাকার সমস্যা। সম্প্রতি বাজারে এসেছে নতুন মডেলের বড় স্ক্রিনযুক্ত নানা ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন। এসব স্মার্টফোনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে না ব্যাটারির ক্ষমতা। ফলে অনেকেরই স্মার্টফোনের চার্জ শেষ হয়ে যাচ্ছে দিন শেষ হওয়ার আগেই।
এ সমস্যা মোকাবিলায় আপনার স্মার্টফোনের স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে ফেলুন। এ ছাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রণের উপায় বন্ধ করে রাখুন। এ মোড মোবাইলের সেন্সরগুলো সব সময় চালু রাখবে এবং এতে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হবে।
২. সেট করুন এয়ারপ্লেন মোড
স্মার্টফোনের সঙ্গে ইন্টারনেট যুক্ত থাকা এখন অনেকটা অত্যাবশ্যকীয় বিষয় হয়ে যাচ্ছে। আর এর ফলে স্মার্টফোন ক্রমাগত ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ও ওয়াই-ফাইতে ইন্টারনেটের সন্ধান করতে থাকে। এসব কর্মকাণ্ডের ফলে মোবাইল ফোনের ব্যাটারি ক্রমাগত খরচ হতে থাকে।
নেটওয়ার্কজনিত এসব সমস্যা মোকাবিলায় ‘এয়ারপ্লেন মোড’ হতে পারে একটি ভালো সমাধান। আপনার প্রয়োজনীয় সময় ছাড়া অন্য সময়ে ফোনটি এয়ারপ্লেন মোডে রাখলে ব্যাটারির খরচ অনেক কম হবে।
৩. অনলাইনে এইচডি মুভি ও গেমস এড়িয়ে চলুন
আগেই বলা হয়েছে, স্ক্রিন আপনার মোবাইলের ব্যাটারি দ্রুত শেষ করে। এইচডি কোয়ালিটির কোনো মুভি যদি অনলাইন থেকে স্ট্রিমিং করে দেখেন কিংবা অ্যাংরি বার্ডসের মতো অনলাইন গেমস খেলেন তাহলে তা দ্রুত আপনার মোবাইলের চার্জ শেষ করে দেবে। আপনার হাতের কাছে যদি চার্জ করার মতো ব্যবস্থা না থাকে তাহলে এসব এড়িয়ে চলুন।
৪. জিপিএস ও লোকেশন সার্ভিস বন্ধ করুন
এখন বহু স্মার্টফোনেই থাকে জিপিএস লোকেশন সার্ভিস ও নানা নেভিগেশন অ্যাপ। জিপিএস স্যাটেলাইটের সাহায্যে নানা অবস্থানভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করে এবং তা ক্রমাগত আপডেট করে। মানচিত্র ছাড়াও ছবি তোলার সময় এসব তথ্য তাতে সংযোজিত হয়।
ব্যাটারি বাঁচাতে চাইলে জিপিএস এবং জিওট্যাগিং বন্ধ করে রাখুন। এতে আপনার মোবাইলের ব্যাটারি অনেকখানি সাশ্রয় হবে।
আইফোনে এ কাজটি করার জন্য সেটিংস থেকে প্রাইভেসি এবং এরপর লোকেশন সার্ভিস-এ ক্লিক করুন। এরপর স্ক্রল করে সিস্টেম সার্ভিসেস-এ যান।
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাসে এ কাজটি করার জন্য সেটিংস মেনুতে গিয়ে লোকেশন-এ ক্লিক করুন।
উইন্ডোজ ফোনে এ কাজ করার জন্য স্টার্ট বাটন > সেটিংস > লোকেশন এ ট্যাপ করুন।
৫. বন্ধ করুন অন্যান্য নেটওয়ার্ক
এখন মোবাইল ফোনে জিপিএস ছাড়াও থাকে ব্লুটুথ, এনএফসি ও ওয়াই-ফাইয়ের ব্যবস্থা। আপনার মোবাইলে প্রয়োজন অনুযায়ী এগুলো চালানো ও বন্ধ করার বিষয়গুলো শিখে নিন। প্রয়োজন না থাকলে এসব সেবা বন্ধ রাখুন।
৬. ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা নিয়ন্ত্রণ করুন
আপনার ই-মেইল, খবরের হেডলাইন, অ্যাপয়েন্টমেন্ট, আবহাওয়ার খবর ইত্যাদি ক্রমাগত আপডেট করার জন্য মোবাইল ফোন ব্যাকগ্রাউন্ডে ইন্টারনেট সংযুক্ত থেকে কাজ করে। আর এ কাজে যদি মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তাহলে অনেক বেশি চার্জ শেষ হয়। সে তুলনায় ওয়াই-ফাই যথেষ্ট সাশ্রয়ী। তাই এসব আপডেটের জন্য ওয়াই-ফাই ছাড়া অন্য অপশনগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
এ জন্য আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে সেটিংস ও সেখান থেকে জেনারেল ও ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ রিফ্রেশ-এ ক্লিক করতে হবে। এরপর বিভিন্ন অ্যাপের ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করার সেটিংস পরিবর্তন করতে পারবেন।
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে সেটিংস > ডেটা ইউজেস > অ্যাপ-এ যেতে হবে। এরপর এখানে একেবারে নিচে গিয়ে রেস্ট্রিক্ট ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা থেকে এসব ডেটা বন্ধ বা সীমিত করতে পারবেন।
উইন্ডোজ ফোন ৮.১ ব্যবহারকারীরা ‘রেস্ট্রিক্ট ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ ডেটা’ পাবেন ডেটা সেন্স অ্যাপ-এর ভেতর।

Leave a Reply