চাকরির জন্য বায়োডাটা বা সিভি তৈরি একটি অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর কাজ। আর এ কাজটি আরও জটিল হলে দাঁড়ায়, আপনি যদি চাকরির ক্ষেত্র পরিবর্তন করতে চান। কারণ কোনো একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে চাকরির জন্য আপনার অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হয়। আর এ অভিজ্ঞতা যদি হয় ভিন্ন কোনো ক্ষেত্রের, তাহলে তা নিয়োগকর্তাকে আকর্ষণ করানো যথেষ্ট শক্ত একটি কাজ।
এ বিষয়ে ক্যারিয়ার এক্সপার্ট অ্যামান্ডা অ্যাগুস্টাইন বলেন, ‘আপনি যখন ক্যারিয়ার পরিবর্তন করতে চাইবেন তখন আপনাকে অন্য বহু চাকরিপ্রার্থীকে টপকে যেতে হবে, যাদের আরও সনাতন ও সাধারণভাবে গ্রহণযোগ্য চাকরির অভিজ্ঞতা রয়েছে।’
তবে তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু অসাধারণ সিভি আপনাকে এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।’
কিন্তু কিভাবে বানাবেন অসাধারণ ও দৃষ্টিআকর্ষণীয় সিভি? যে সিভি অন্য প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে আপনার চাকরি নিশ্চিত করবে।
এ প্রসঙ্গে অ্যামান্ডা বলেন, ‘আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, প্রফেশনাল উন্নয়ন ও দক্ষতা নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং এ থেকে ক্যারিয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিতে হবে। এরপর আপনার নতুন করে অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।’
বিষয়টি ঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য আপনার সিভিতে বিষয়গুলো এমনভাবে প্রকাশ করতে হবে যেন তা নতুন গ্রাহকের বোধগম্য ও গ্রহণযোগ্য হয়। এ বিষয়ে একটি উদাহরণ প্রকাশ করেছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. চাকরিপ্রার্থীর নতুন ক্যারিয়ার অবজেকটিভ খুবই পরিষ্কার
আপনি যদি ক্যারিয়ার পরিবর্তন করতে চান তাহলে নতুন ক্যারিয়ারের অবজেক্টিভ খুবই পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে হবে। এতে আপনার সম্ভাব্য নিয়োগকর্তা আপনাকে নিয়োগ করতে আগ্রহী হতে পারে।
২. নতুন পদের উপযোগী দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে
আপনার আগ্রহের নতুন চাকরির জন্য যেমনটা প্রয়োজন, আপনার দক্ষতা, অর্জন ও যোগ্যতা ঠিক সেভাবে তুলে ধরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এজন্য আপনার অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা, যা তাদের কাজে লাগবে, তা ভালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে এ সিভিতে।
৩. চাকরিপ্রার্থী যা চায়, তা তুলে ধরা হয়েছে
চাকরিদাতা তাদের বিজ্ঞাপনে কিছু বিষয়ে অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা চেয়েছিল। চাকরিপ্রার্থী এক্ষেত্রে সে সুযোগটি কাজে লাগিয়েছেন। তাদের নির্দিষ্ট পদের জন্য তার যা যা দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা আছে, তা এখানে তুলে ধরেছেন তিনি।
৪. অভিজ্ঞতা নতুন করে সাজানো হয়েছে
চাকরিপ্রার্থী তার আগের চাকরির অভিজ্ঞতা এমনভাবে সাজিয়েছেন, যেন তা নতুন চাকরির জন্য উপযোগী হয়।
৫. শুধু প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতার সমাহার
চাকরিপ্রাথীর আরও অনেক অভিজ্ঞতা থাকলেও তা এক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয়নি। এক্ষেত্রে চাকরির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ অভিজ্ঞতাই তিনি তুলে ধরেছেন।
৬. পরিসংখ্যানের ব্যবহার
চাকরির নানা অর্জন পরিষ্কারভাবে তুলে ধরার জন্য পরিসংখ্যানের তুলনা নেই। এই সিভিতেও গুরুত্বপূর্ণ অর্জন পরিসংখ্যান আকারে তুলে ধরেছেন চাকরিপ্রার্থী।
৭. অতিরিক্ত যোগ্যতা
চাকরির সঙ্গে আপাতদৃষ্টিতে সঙ্গতিহীন মনে হলেও কয়েকটি গুণের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে যোগাযোগের দক্ষতা, প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যপদ, স্বেচ্ছাসেবক কাজ, ইন্টার্নশিপ ও পাঠসহায়ক কার্যক্রম। এসব বিষয় চাকরিটির জন্য এ ব্যক্তির যোগ্যতাকে তুলে ধরতে কাজে লাগে।