স্লিম ও আকর্ষণীয় ফিগার পেতে যে ১০টি কাজ আপনাকে করতেই হবে!

স্লিম ও আকর্ষণীয় ফিগার পেতে যে ১০টি কাজ আপনাকে করতেই হবে!

ঈদের পর বেশ কয়েকটি দিন জুড়েই চলে দাওয়াত ও অতিথি আপ্যায়ন। প্রিয়জনদের জন্য অল্প পরিশ্রমে ভীষণ বাহারি কিছু তৈরি করতে চান? জেনে নিন ফারহিন রহমানের অসাধারণ এই রেসিপি আর দারুন মুখরোচক বিরিয়ানি খাইয়ে ভরিয়ে দিন সবার মন।

১) খেতেই হবে সকালের নাশতা
হেলথ ট্রেন্ড আসবে যাবে, কিন্তু সকালের নাশতার প্রয়োজনীয়তা ফুরোবে না কখনোই। যারা নিয়মিত সকালে নাশতা করেন তারা ওজন কমান বেশি, কারণ নাশতা করার সাথে সাথেই মেটাবলিজম শুরু হয়ে যায়।

২) টাটকা খাবার খান

দ্রুত ওজন কমাতে প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং জাঙ্ক ফুড বাদ দিন। বেশ করে খান প্রাকৃতিক, টাটকা খাবার। হোল গ্রেইন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে শরীরটা খুব ঝরঝরে লাগবে আর ওজনও ঝরবে কয়েক সপ্তাহের মাঝেই।

৩) বেশি খাবেন না

যতই স্বাস্থ্যকর খাবার খান না কেন, খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ওজন রয়ে যাবে যে কে সেই। এ কারণে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আর খাবারে বিভিন্ন উপাদান যেন সুষম পরিমাণে থাকে তার দিকেও লক্ষ্য রাখুন। প্রয়োজনমতো প্রোটিন অবশ্যই রাখবেন খাবারে। যেসব কার্বোহাইড্রেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম সেগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৪) ব্যায়াম উপভোগ করুন

ব্যায়ামকে যতো শাস্তি মনে করবেন, তত ক্ষতি হবে। ওজন কমানোর ইচ্ছে থাকলে সপ্তাহে একদিন ১৫ মিনিট হেঁটেই যদি ভাবেন যথেষ্ট হয়েছে, তাহলে কী করে ওজন কমবে বলুন তো। সপ্তাহে অন্তত ছয়দিন ঘন্টাখানেকের মতো ব্যায়াম করা দরকার। আর ব্যায়াম করার পর যদি আপনার কাপড়চোপড় ঘামে ভিজে জবজবে হয়ে না যায় তবে ব্যায়ামের উপকার পাবেন না আপনি।

৫) ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করুন

এক ধাক্কায় ১০ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলার সংকল্প থাকলে আপনার হতাশ হবার সম্ভাবনা বেশি। এর চাইতে ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করুন। যেমন এক সপ্তাহের মাঝে আরো কয়েকটা বেশি পুশআপ দেওয়া, আরো ১০ মিনিট বেশি ব্যায়াম করা, গত বছরের জিনসটা পরার মতো মেদ ঝরানো ইত্যাদি। একটু একটু করেই দেখবেন অনেকটা উপকার হয়েছে।

৬) আরো বেশি পানি পান করুন

আপনি কী জানেন, অনেক সময়ে এমন হয় যে আপনার আসলে তেষ্টা পেয়েছে অথচ আপনি ভাবছেন আপনার ক্ষুধা লেগেছে! এই করতে গিয়ে পানি পান না করে বরং পেট ভরে খাওয়া দাওয়া করে ফেলেন তারা। ওজন তো বাড়বেই! সারাদিন পানি পান করুন। একটা বোতলে পানি নিয়ে সারাদিনই একটু একটু করে পান করতে থাকুন। দেখবেন আপনার এটাসেটা খাওয়ার প্রবণতা কমে গেছে। আর পানি পান করলে মেটাবলিজমও বাড়বে, ফলে পুড়বে বেশি ক্যালোরি।

৭) পরিকল্পনা করুন আগে থেকেই

ওজন কমানোর ইচ্ছে থাকলেও মাঝে মাঝে একটু আধটু মিষ্টি, ফাস্টফুড খাওয়াই যায়। কিন্তু তাই বলে যখন তখন নয়। ৮০/২০ নিয়মটি অনুসরণ করুন। আপনার খাদ্যভ্যাসের ৮০ শতাংশ যদি হয় একেবারে স্বাস্থ্যকর তবে বাকি ২০ শতাংশ একটু চিনি, একটু ফাস্ট ফুড হলেও সমস্যা নেই।

৮) শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম করুন

শক্তি বাড়ানোর অর্থাৎ স্ট্রেংথ ট্রেইনিং পেশী গঠন করতে সাহায্য করে, মেটাবলিজম বাড়ায় এবং কমায় মেদ। নিয়ম মেনে করলে এতে আপনার কোনো ক্ষতিও হবে না।

৯) বিশ্রাম নিন যথেষ্ট

রাত্রে ভালো ঘুম না হলে পরের দিন ব্যায়াম করতে ইচ্ছে হবে না, আজেবাজে খাবার খেতে ইচ্ছে হবে বার বার। শুধু তাই নয়, শরীরকে বিশ্রাম দিলে মেদ কমেও দ্রুত। এসব কারণে একটু আগেই ঘুমাতে চলে যান।

১০) আশাবাদী থাকুন

নিজেকে দোষ দেবেন না ওজন বাড়ার জন্য। দ্রুত ওজন কমাতে না পারলে নিজের ওপর খামোখা রাগ করবেন না। আশা রাখুন। পুরো ব্যাপারটাকে হালকাভাবে নিন। ওজন কমানোটাকে তখন আর কষ্ট মনে হবে না। ক্যালোরি নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাবেন না।

Leave a Reply