হিটলার ছিলেন পুরোপুরি নিরামিষভোজী, জানালেন তার খাবার পরীক্ষক

মারগোট ওক-এর এখন বয়স ৯৫ বছর। এই বৃদ্ধা সেই ১৫ জন তরুণীর একজন, যারা এডলফ হিটলারের খাদ্য পরীক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন। হিটলারের খাদ্যে কোনো বিষ রয়েছে কিনা তারা তা নিয়মিত পরীক্ষা করতেন। এ নারী নিজেই জানালেন, হিটলার ছিলের পুরোপুরি নিরামিষভোজী।
মারগোট আরো জানান, ওই সময় একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, ব্রিটিশরা যেভাবেই হোক হিটলারকে খাদ্যে বিষ মিশিয়ে মারার পরিকল্পনা করছে। তিনি কখনোই মাংস খেতেন না। তার খাদ্য তালিকায় ছিল ভাত, নুডলস, শিমের বীচি, ফুলকপি এবং এগুলোর সঙ্গে থাকতো গোলমরিচ।
এই বৃদ্ধাকে তরুণী বয়সে হিটলারের হেডকোয়ার্টারে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তাকে রিক্রুট করে হেডকোয়ার্টারের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সবচেয়ে ভয়ংকর বাহিনী ‘ওলফস লেয়ার’। হিটলার যা খেতেন তা নিজে খাওয়ার সৌভাগ্য তার হয়েছে এবং এ নিয়ে সারা জীবন গর্ব করে কাটিয়েছেন তিনি, জানান ওক।
১৯৪৫ সালে রেড আর্মির আক্রমণে হেডকোয়ার্টারের সবাই নিহত হন। তখন একমাত্র বেঁচে ছিলেন এই নারী। তিনি ছিলেন জার্মার রেলওয়ের এক কর্মীর মেয়ে। ১৯৩৩ সালে নাজি বাহিনী ক্ষমতায় আসার পর তিনি দুর্ঘটনাক্রমে এই দলে নিয়োগ পান।
স্মৃতি থেকে তিনি জানান, আমাদের সব খাবারই নিজেরা খেয়ে দেখতে হতো। এরপর আমাদের এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকতাম কখন অসুস্থ হয়ে পড়ি।
১৯৪১ সালে হিটলারের হেডকোয়ার্টার ধ্বংসের পর তিনি প্রুশিয়ার শহরের পার্টচ-এ চলে যান। সেখানে তার নিজেদের বাড়ি ছিল। হিটলারের ওই খাবার পরীক্ষার দলে তাকে জোরপূর্বক অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

Leave a Reply