সাজগোজ কে না ভালবাসে । এ কথা সব সময় সত্যি নয় যে মানুষ শুধু অন্যকে দেখানোর জন্যেই সাজে । সাজলে নিজের মনও ভাল থাকে । কিন্তু সময়ের অভাবে অনেকেই সুন্দর করে সাজতে পারেন না। সঠিক ভাবে মেকাপ করতে হলে বেশ কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন করতে হয় । আসুন জেনে নেই মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই কিভাবে নিজেকে তৈরী করবেন ।
যা যা প্রয়োজন :
– সানস্ক্রিন
– কনসিলার
– ফাউন্ডেশন
– আই স্যাডো
– আই লাইনার
– মাশকারা
– ব্লাশ
– লিপস্টিক
যেভাবে করবেন :
প্রথমে আপনার মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এবার মুখ এবং ঘাড়ে ভালো ভাবে লাগিয়ে নিন। রোদ-বৃষ্টি যাই হোক প্রতিদিন ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলুন। যাদের শুষ্ক ত্বক তারা ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করে শুধুমাত্র SPF 15 বা তার অধিক ব্যবহার করুন। আর যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয় তবে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন এবং মুখ শুকানোর আগে ব্যবহার করুন।
১. কনসিলার এর ব্যবহার :
কনসিলার দিয়ে আপনার মুখের অসম দাগকে মুছে দিতে পারেন। প্রথমে আপনার মুখের কালো বা সবচেয়ে প্রয়োজনীয় (চোখের নিচে, নাকের দুইপাশে, চিবুকের উপর) স্থানে অনামিকা দিয়ে বিন্দু বিন্দু আকারে প্রয়োগ করুন। তারপর ভালো ভাবে স্কিনের সাথে মিশিয়ে লাগিয়ে দিন। এবার আপনার মুখের অসম দাগ গুল আর দেখতে পাবেন না ।
২. ফাউন্ডেশনের ব্যবহার :
ফাউন্ডেশন ব্যবহারের সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে, আপনার মুখের রঙের সাথে সামানজস্য পূর্ন সঠিক ফাউন্ডেশনটি আপনি ব্যবহার করছেন। একবারে আপনার সারা মুখে ফাউন্ডেশন লাগাবেন না। মুখের এক অংশে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে প্রথমে তা মুখের স্কিনের সাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিবেন। তারপর অন্য অংশে লাগাবেন। এভাবে সমস্ত মুখে ধীরে ধীরে পর্যায়ক্রমে ফাউন্ডেশন লাগাবেন ।
৩. আই স্যাডোর ব্যবহার :
ফাউন্ডেশন লাগানোর পর আপনার মুখ মেক-আপের জন্য সম্পূর্ন ভাবে তৈরি আছে। এখন চোখের মেক-আপ করার সময়। সাধারনত আমরা সবাই ড্রেসের রঙের সাথে রঙ মিলিয়ে ব্যবহার করে থাকি। তবে যে রঙই আমরা ব্যবহার করি না কেন চোখের কোনে হালকা ব্যবহার করলে ভাল লাগে, আর চোখের শেষ দিকে ধীরে ধীরে কালো বা গাড়ো রঙ লাগালে সুন্দর লাগে। ব্রাশ দিয়ে খুব ভাল ভাবে চোখের সাথে মিলিয়ে দিতে হবে ।
৪. আই লাইনার ব্যবহার :
এর মত আমরা বিভিন্ন ভাবে দিতে পারি। এর সঠিক কনো নিয়ম নেই, যার চোখে যেভাবে ভাল লাগে সে সেভাবেই লাগায়। সাধারনত চোখের উপরের অংশে প্রয়োগ করে। দিয়ে চোখের অনেক ধরণের লুক দিতে পারেন। এদের আবার আছে বাহারী সব নাম। যেমনঃ সাধারন চোখ, বিড়াল চক্ষু এবং আরো অনেক কিছু ।
৫. মাশকারা ব্যবহার :
মাসকারা আপনার চোখের সাজকে আরো পরিপূর্ন করে তোলে। মাসকারা ব্যবহারে আপনার চোখ হয়ে ওঠে আরো বেশি সুন্দর। মাসকারার ব্রাশ ব্যবহার করে অতি সহজে চোখের আইল্যাস গুলো আরো ঘ্ন করতে পারেন ।
৬. ব্লাশ এর ব্যবহার :
যারা একটু বেশি সাজগোজ পছন্দ করে তাদের জন্য ব্লাশ। গালের দুই পাশে নিচ থেকে উপরের দিকে ব্রাশ দিয়ে ব্লাশ দিতে হয়। যাদের রঙ ফর্সা তারা যেকোন রঙের ব্লাশ লাগাতে পারে আর যাদের রঙ একটু কম ফর্সা তারা একটু হালকা রঙ লাগাবেন। তবে রাতের অনুষ্ঠানে সবাই গাঢ় করে লাগাতে পারেন ।
৭. লিপস্টিক এর ব্যবহার :
প্রথমে দিয়ে ঠোঁটের চারপাশে একে নিন। তবে যেন হালকা রঙের হয়। এরপরে আপনার পছন্দের বা আপনার ড্রেসের সাথে মিলিয়ে লিপস্টিক ব্যবহার করুন। আবার আপনার এর রংটি যদি বেশি সুন্দর হয়, তবে আপনি চাইলে সমস্ত ঠোঁটে দিতে পারেন, তারপর উপরে লিপ গ্লস বা লিপ লাগাতে পারেন। দিনে হালকা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করুন আর রাতে একটু গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করুন। আর খেয়াল রাখবেন যেকনো নামের বা মানের লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না। লিপস্টিক ব্যবহারের সময় ভাল মানের লিপস্টিক ব্যবহার করবেন, নয়ত আপনার ঠোঁট কালো হয়ে যাবে ।
