গরমে ঘামাচি থেকে মুক্তির উপায়!

গরমে ঘামাচি থেকে মুক্তির উপায়!

যন্ত্রণাদায়ক ঘামাচির সঙ্গে কমবেশি প্রায় সবারই পরিচয় আছে। ঘামাচি থেকে মুক্তি পেতে নানা ধরনের নামী দামি পাউডার বা ক্রিম ব্যবহার করেন অনেকেই। আবার কেউ কেউ ডাক্তারের শরণাপন্নও হয়ে থাকেন বাধ্য হয়ে। অথচ ঘরে বসেই কিছু ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করেই সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীনভাবে মুক্তি পাওয়া যাতে পারে এই যন্ত্রণা থেকে। দেহের ঘর্মগ্রন্থিগুলোর মুখ যখন ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ার জন্য আটকে যায়, তখন ঘাম বের হতে না পেরে সেখানে আটকে গিয়ে ঘামাচি তৈরি হয়। সাধারণত পিঠ, বাহু, পেট এসব স্থানে ঘামাচি দেখা দিলেও অনেকের মুখে, কপালেও অতিরিক্ত গরমে ঘামাচি দেখা দেয়। এটি শুধু দেখতে বিচ্ছিরিই নয়, বরং এর সঙ্গে যুক্ত হয় চুলকানি বা নানারকম সংক্রমণ। নিচে ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েকটি উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো :

বরফ : ঘামাচি আক্রান্ত জায়গাটিতে খুব ভালোভাবে বরফ ঘষে নিন। দিনে দু-তিনবার করুন। দেখবেন খুব জলদিই সেরে যাবে ঘামাচি।

মুলতানি মাটি : ৪-৫ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, ২-৩ টেবিল চামচ গোলাপজল ও পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় পেস্টটি লাগান ও ২-৩ ঘণ্টা রাখুন। তারপর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

ঠাণ্ডা পানি : ঠাণ্ডা পানিতে একটি পরিষ্কার সুতি কাপড় ভেজান। তারপর সেটি তুলে আক্রান্ত জায়গায় লাগান যতক্ষণ না জায়গাটি পানি শুষে নিচ্ছে। এভাবে দিনে ২-৩ বার করুন। এতে ঘামচি দ্রুত সেরে উঠবে।

বেকিং সোডা : ১ কাপ ঠাণ্ডা পানিতে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা নিন। একটি পরিষ্কার কাপড় এতে ভিজিয়ে নিংড়ে নিন ও ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় লাগান।

নিমপাতা : নিমপাতা ভালোভাবে বেটে নিন। খানিকটা পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং আক্রান্ত জায়গায় লাগান। সম্পূর্ণ না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। নিমপাতার এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ঘামাচির জীবাণু মেরে ফেলে দ্রুত আপনাকে ঘামাচি থেকে মুক্তি দেবে। কিছুক্ষণ পর তুলে ফেলুন। ভালো ফলাফল পাবার জন্যে দিনে ৪-৫ বার এটি করতে পারেন।

লেবুর রস : প্রতিদিন কমপক্ষে ৩-৪ গ্লাস লেবুর শরবত পান করুন একটু বেশি করে লেবু মিশিয়ে। এটি ঘামাচি নিরাময়ে কাজ করবে স্রেফ জাদুর মতই!

অ্যালোভেরা : অ্যালোভেরার রস বের করে ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রাখুন না শুকোনো পর্যন্ত। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করে নিন।

উপরোক্ত উপায় অবলম্বন করে সহজেই এই তীব্র গরমে ঘামাচি থেকে মুক্ত থাকতে পারেন।

Leave a Reply