শুনতে অদ্ভুত লাগলেও মাঝে মাঝে এসব অস্বাভাবিক কিছু খাবার বা উপাদানের ব্যবহার স্বাস্থ্য, চুল ও ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে।সুন্দর স্বাস্থ্য এবং ত্বক সবারই কাঙ্ক্ষিত বিষয়। আর এই করতে অদ্ভূতসব উপাদানও বেছে নেন অনেকে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে এমন কিছু অদ্ভুত বিষয় তুলে ধরা হয়।
১. চুল কন্ডিশনে আভোকাডোঃ
আভোকাডোর পেস্ট চুল ডিপ কন্ডিশনিং করতে সাহায্য করে। নিউইয়র্কের সেলিব্রিটি হেয়ার স্টাইলিস্ট হুয়ান কার্লোস ম্যাথিকেস বলেন, চুল স্বাস্ব্যোজ্জ্বল ও নরম রাখতে সাহায্য করে আভোকাডো।
তাছাড়া অনেক সময় চুল উশকোখুশকো হয়ে থাকে বা চুল গুছিয়ে রাখতেও বিপাকে পড়তে হয়। এ সমস্যা দূর করতে চুলে আভোকাডোর সঙ্গে সামান্য পরিমাণ অলিভ অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এরপর চুল ভালোভাবে শুকিয়ে নিলেই চুল গুছিয়ে নেওয়া যাবে সহজেই।
তাছাড়া চুল কন্ডিশন করতে মেয়োনেইজও বেশ উপকারী।
২. মুখের ভেতর পরিষ্কার রাখতে নারিকেল তেলঃ
যারা ৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য ১ টেবিল-চামচ নারিকেল তেল মুখে নিয়ে কুলিকুচি করেছেন তাদের দাবি, এতে দাঁত পরিষ্কার ও সাদা বেশি হয়। পাশাপাশি মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও নাকি এটি কার্যকারী!!আরও দাবি করা হয়, নারিকেল তেল দাঁত ক্ষয় হওয়ার জন্য দায়ী বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। তাই দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নারিকেল তেল ব্যবহার করা উপকারী।
তবে কারও কারও নারিকেল তেল দিয়ে কুলিকুচি করার পর বমিভাব হতে পারে। তাদের উচিত এ পদ্ধতি এড়িয়ে চলা।ঃ৩.
৩. হেঁচকি রোধে চিনিঃ
হেঁচকি ওঠা একটি স্বাভাবিক ঘটনা। মাঝে মাঝে এটি খুব যন্ত্রণাদায়ক। তবে দীর্ঘ সময় ধরে এই সমস্যা চললে এক চা-চামচ চিনি খেলে উপকার উপকার পাওয়া যাবে। কারণ চিনি বুক ও পেটের মাঝের মধ্যচ্ছেদা পেশির খিঁচুনি বন্ধ করে, ফলে হেঁচকি ওঠাও বন্ধ করতে সাহায্য করে।তবে পদ্ধতিটি বারবার ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে উপকার হওয়ার চেয়ে অপকার হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।
৪. ‘সি সিকনেস’ থেকে রক্ষা পেতে জলপাইঃ
তবে ‘সি সিকনেস’ হলে অ্যালকোহল সমৃদ্ধ পানীয় পান করা উচিত নয়। কারণ জলপাই খাওয়ার পর অ্যালকোহল সমস্যা দূর করার পরিবর্তে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।