উৎসবে মিষ্টি মুখ না হলে কি চলে। নানান রকম খাবারের সাথে জর্দাও নিশ্চই রান্না করবেন। তবে এবার গতানুগতিক না রেধে তৈরী করুন ভিন্ন রকম স্বাদের শাহি মুতাঞ্জান জর্দা। রেসিপি দিয়েছেন লিন্ডা ইসলাম।
উপকরণ
বাসমতী চাল ২ কাপ। তরল দুধ ১ কাপ। ঘি ১ কাপ। মাওয়া ১ কাপ। লবঙ্গ ছোট ১টি। এলাচ ৩টি। চিনি ৩ কাপ ও ২ টেবিল-চামচ। কাজু ও পেস্তাবাদাম আধা কাপ (ঘিয়ে ভেজে রাখবেন)। রংবেরংয়ের ছোট ছোট মিষ্টি ১ কাপ। টুটিফ্রুটি ১ কাপ (পাবেন যেকোন সুপারশপে) । মোরব্বা, কিশমিশ, খেজুর সব মিলে ১ কাপ। কমলার ছোকলাকুঁচি ১ টেবিল-চামচ। কমলার রস ৩ টেবিল-চামচ।
পদ্ধতি
এলাচ ও লবঙ্গ দুই টেবিল-চামচ চিনির সঙ্গে বেটে নিন।
প্রথমে চাল ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টার মতো। একই সময় চুলায় পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ফোটান।
পানিতে ফুটলে এক টেবিল-চামচ তেল দিন। তারপর ভিজিয়ে রাখা চাল দিন। ১০ থেকে ১২ মিনিট চাল সিদ্ধ করুন।
খেয়াল রাখবেন ভাত যেন শক্ত থাকে, নরম না হয়। নামানোর আগে খাবার রং দিয়েই ভাত ঝাঁঝরিতে ঢেলে দিন।
ঝাঁঝরিতে চাল ঢেলেই কমলার রস ও ছোকলাকুঁচি মিশিয়ে দিন। চাল আর ঢাকবেন না।
একদিকে যখন পানি ঝরতে থাকবে চালের, অন্যদিকে চুলায় হাঁড়ি চড়িয়ে তাতে দুধ, ঘি, চিনি, এলাচ, চিনি এবং লবঙ্গ বাটা একসঙ্গে দিয়ে নাড়তে থাকুন।
দুধ ফুটে উঠলে সিদ্ধ চাল ঢেলে আস্তে আস্তে নেড়ে সব মিশিয়ে দিন। প্রথম দুতিন মিনিট বেশি জ্বালে নেড়েচেড়ে তারপর আঁচ কমিয়ে ঢেকে ৪৫ মিনিট রান্না করবেন।
এই সময় নাড়বেন না। তবে কয়েকবার ঢাকনা উঠিয়ে শুধু দেখবেন। ৪৫ মিনিট পর হয়ে গেলে নামিয়ে পরিবেশন পাত্রে অর্ধেক ঢেলে এর উপর মাওয়া, কিশমিশ, খেজুর, মোরব্বা, বাদাম অর্ধেকটা ছড়িয়ে উপরে বাকি জর্দা ঢেলে দিয়ে বাকি থাকা মাওয়া, কিশমিশ, খেজুর, মোরব্বা, বাদাম, মিষ্টি, টুটিফ্রুটি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।