সারা বিশ্বে আতিথিয়েতার জন্য জনপ্রিয় যত উপকরণ রয়েছে তারমধ্যে পানীয় হিসেবে চা শীর্ষে। শুধু জনপ্রিয় নয় চা উপকারীও। আর শীতের দিনে তো গরম চায়ের যেন তুলনাই নেই।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, চায়ের সঙ্গে যদি আদা যুক্ত হয় তা হলে এর উপকারিতা বাড়ে কয়েকগুণ।
কারণ আদায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান; যা শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংস করে। জ্বরজ্বর ভাব, গলা ব্যথা ও মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে আদা-চা। তবে রান্নার চেয়ে কাঁচা আদার পুষ্টিগুণ বেশি।
শীতকালে আদা-চায়ের বেশকিছু উপকারিতা রয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এগুলো হল
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়শীতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে আদা-চা। নিয়মিত ও পরিমিত আদা-চায় শরীরে রক্ত সঞ্চালনের গতি স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়া আদা-চা শীতে হালকা জ্বর-কাশি দূর করে।
ব্যথা কমায়
যাদের বয়স একটু বেশি; শীতে তাদের কষ্ট হয় বেশি। শরীরের নানা জায়গায় তাদের ব্যথা দেখা দেয়। আদা দেহের পেশী ও হাড়ের ব্যথা নিরাময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এ কারণে ব্যথা হলে চায়ের সাথে সামান্য আদা খাওয়া ভালো।
হজমে সহায়ক
আদা হজমেও সহায়ক। তাই কারো হজমে সমস্যা থাকলে আদা-চা তার জন্য উপকারী হতে পারে। পাকস্থলীর নানা সমস্যা দূর করে আদা চা। অনেকেই বেশি পরিমাণে খাওয়ার পর অস্বস্তিতে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে আদা-চা খুবই উপকারী। আদা-চা অল্প সময়ের মধ্যেই ওই অস্বস্তি দূর করে।
বমি রোধে কার্যকরী
বাসে বা ট্রেনে উঠলে অনেকের বমির ভাব হয়।এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে আদা-চা। তাই যাত্রার আগে এক কাপ আদা-চা পান উপকারী।
মানসিক চাপ কমায়
মানসিক চাপ দূর করেতে সহায়তা করে আদা-চা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, চা পাতা ও আদার ঘ্রান মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে।