ওয়াই-ফাই রেডিয়েশনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় শিশুরা

সীসা, ক্লোরোফরম, গ্যাসোলিন, কীটনাশক ইত্যাদির আশপাশ থেকে শিশুদের দূরে রাখাটা জরুরি। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর একটি অংশ ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার এর এক গবেষণায় এসব উপাদানকে মানবদেহের জন্যে মারাত্মক হুমকি বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো দেহে ক্যান্সার সৃষ্টির অন্যতম কারণ বলে বিবেচিত হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে রেডিও-টেলিভিশনের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি পর্যন্ত ক্ষতির কারণ হতে পারে।

আধুনিক যুগে আরো একটি জিনিস এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যার অহরহ ব্যবহার শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে বলে ‘জার্নাল অব মাইক্রোস্কপি অ্যান্ড আল্ট্রাস্ট্রাকচার’ এর এক রিপোর্টে বলা হয়। এর নাম ওয়াই-ফাই। দিনের বড় একটি সময় শিশুদের মোবাইল, ট্যাব এবং কম্পিউটারের সামনে দেখা যায়। তা ছাড়া সব সময় ওয়াই-ফাই জোনের ভেতরেই থাকে তারা। এর মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন শিশুদেহে নানা ক্ষতির জন্ম দিতে পারে। কিছু তথ্য জেনে নিন।

১. শিশুদের দেহ বড়দের চেয়ে বেশি পরিমাণ মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন গ্রহণ করে।
২. নবজাতকরা আরো বেশি ঝুঁকিতে থাকে।
৩. নারীদের ব্রেসিয়ার বা স্পর্শকাতর অঙ্গের কাছে মোবাইল রাখা উচিত নয়।
৪. মোবাইলের ওয়ার্নিং ম্যাসেজ বা সংকেত পাওয়া মাত্রই মানুষ মানসিক খুব বেশি রেডিয়েশন ছড়িয়ে দেয়।
৫. সরকারি ওয়ার্নিং সম্পর্কে মানুষ তেমন সচেতন নয়।
৬. তারবিহীন যন্ত্রগুলো আসলে রেডিও ট্রান্সমিটার।

শিশু এবং নবজাতকের দেহে বড়দের চেয়ে অনেক বেশি মাইক্রোওয়েভ রেজিয়েশন প্রবেশ করে। কারণ তাদের দেহ নরম ও কোমল। তাদের হাড় ও খুলি অনেক পাতলা এবং মগজের টিস্যু অনেক বেশি রেজিয়েশন শোষণ করে।বিশেষ এক গবেষণায় দেখা গেছে, এসব রেডিয়েশনে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়া বেড়ে ওঠতে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা দেখা দিতে পারে।

বর্তমানের খোলামেলা নেটওয়ার্কের যুগে ‘ওয়াই-ফাই ধীরে ধীরে মেরে ফেলছে আমাদের’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন বিশেষজ্ঞ মার্ক গিবস। প্রযুক্তির এই যুগে রেডিয়েশনে ভরপুর পরিবেশ। আর এই পরিবেশ কখনোই শিশুদের জন্যে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নয়।

Leave a Reply