আজকে আপনাদের প্রায় সব মূল কাজগুলোই দেখাব কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস সাইট কে ফাস্ট করবেন । চলুন শুরু করি ।
শুরু করার আগে http://tools.pingdom.com/fpt/ থেকে আপনার সাইট এর বর্তমান স্পীড মেপে নিন । নিচের কাজগুলো করার পর আমরা দেখবো কত টুকু সফল হয়েছি ।
বেসিক কাজ দিয়ে শুরু করিঃ
প্লাগিন সংখ্যা কম রাখুন । বেশি প্লাগিন ব্যাবহারের ফলে সাইট স্লও হয়ে যায় । ঠিক মত প্লাগিন সিলেক্ট করবেন । যেই প্লাগিন এ যত বেশি অপশন মনে রাখবেন ঐ প্লাগিন এ তত বেশি কোড সুতরাং তত বেশি স্লও করবে । একটি কাজের জন্য অনেকগুলো প্লাগিন থাকতে পারে । এর মধ্যে যেটাতে আউট জিনিস কম থাকবে ওটা ব্যাবহার করবেন ।
Spam Comments ডিলিট করে দিন । হাজার হাজার স্পাম কমেন্ট ডাটাবেজ এ থাকলে সাইট স্লও হয়া স্বাভাবিক । প্রত্যেক দিন স্পাম কমেন্ট মনে করে ডিলিট করে দিবেন ।
post revisions ডিলিট করুন । স্পাম কমেন্ট ডিলিট এর মতই post revisions ডিলিট করুন । post revisions হচ্ছে আপনি যখন একটা পোস্ট এডিট করে সেভ করেন তখন ওটার একটা কপি ডাটাবেজ এ সেভ হয়ে যায় । এভাবে যতবার এডিট করে সেভ করবেন ততো বার একটা করে নতুন কপি ডাটাবেজ এ যুক্ত হবে । ফলে দেখা যায় একটা পোস্ট এর অনেক গুলো কপি তৈরি হয়ে গেছে । যা ডাটাবেজ কে স্লও করে দেয় । http://wordpress.org/plugins/
define( ‘WP_POST_REVISIONS’, f
alse );
একটি ভালো Hosting সাইট থেকে hosting নিনঃ
ওয়ার্ডপ্রেস একটি গাড়ির মত । এটা ততোক্ষণ ঠিক মত চলবে যতক্ষণ এটাকে ঠিক মত জ্বালানি দিবেন ।Hosting নেয়ার আগে ঠিক মত জেনে নিবেন তাদের সার্ভার ২৪ ঘণ্টা আপ থাকে নাকি , তাদের ব্যান্ডউইথ স্পীড কত , তাদের CPU এর কনফিগারেশান । এগুলো জেনে ঠিক মত ভেবে তারপর Hosting নিবেন ।
আপনার সাইট এর Theme ঠিক ভাবে বাছাই করুনঃ
সাইট এর স্পীড অনেকাংশে থিম এর উপর নির্ভর করে । আলতু ফালতু থিম ব্যাবহার থেকে বিরত থাকুন । থিম নেয়ার আগে সেটার Rating কত , তারপর Support Forum এ গিয়ে দেখবেন সেটার সম্পর্কে কোন অভিযোগ আছে কিনা । থিম বাছাই এর সময় নিচের জিনিসগুলো মাথায় রাখবেনঃ
- স্পীড যাতে ভালো থাকে ব্যাবহারের পর
- থিম এ যাতে Built-in security enhancements থাকে
- SEO Friendly যাতে হয়
- ডিজাইন যাতে সুন্দর হয়
থিম আপডেট হয় কিনা অথর দ্বারা তাও মাথায় রাখবেন
Database Optimize করুনঃ
আগে আসুন জানি Database জিনিসটা কি ? আপনার দেহ টাকেই ধরুন । এই দেহের সব কিছু সম্পর্কে তথ্য , ক্রিয়া কলাপ , সাড়া ডান সবই করে থাকে আপনার মস্তিষ্ক । আর মস্তিষ্কের নির্দেশ অনুযায়ী আপনার সম্পূর্ণ দেহ সে অনুসারে কাজ করে । তেমনি Database তা হচ্ছে সেই মিস্তিস্ক আর অন্যান্য জিনিস গুলো হচ্ছে দেহের অংশ ।
এখন কেউ আপনার সাইট এ ঢুকার চেষ্টা করলে একটা নির্দেশ যায় Database এ এবং সম্পূর্ণ Database পড়ার পর আপনার ব্রাউজার নির্দেশ পায় কোন কোন জিনিস আপনাকে প্রদর্শন করতে হবে এবং সে অনুসারে আপনার সামনে সাইট এ প্রদর্শিত হয় ।
সুতরাং Database যদি বড় হয় , অনেক জিনিস থাকে অপ্রয়োজনীয় তাহলে Database পড়তে সার্ভার সময় বেশি নিবে ফলে সাইট স্লও হয়ে যাবে । তাই Database কে যতটা সম্ভব ছোট রাখবেন ।
Database Optimize করার জন্য http://wordpress.org/plugins/
প্লাগিনটা ইন্সটল এর পর আপনি বাম দিকে Database নামে অপশন দেখতে পাবেন ।
Backup DB submenu তে গিয়ে Database backup নিন
Repair DB submenu থেকে Database repair করুন
Optimize DB submenu থেকে Database optimize করুন ।
কাজ শেষ হয়ে গেলে প্লাগিনটি ডিলিট করে ফেলুন। দরকার নেই আর।
নিচের কাজটি আপনি না বুঝলে করার দরকার নেই। অনেকেই না বুঝে নিচের কাজ করতে গিয়ে Database এর প্রয়োজনীয় Table ডিলিট করে ফেলেঃ
ধরুন আপনি আগে কোন প্লাগিন ইন্সটল করে ওটার অপশন পরিবর্তন করে ছিলেন । কিন্তু সেই প্লাগিনটা আপনি আর ব্যাবহার করেন না । মানে ডিলিট করে দিয়েছেন । কিন্তু সেই প্লাগিনটার সেটিং গুলো ঠিকই Database এ রয়ে গেছে । এই সেটিং টার আমাদের দরকার নেই । সুতরাং আমরা এটা ডিলিট করে দিয়ে Database Size কমাতে পারি । এর জন্য আপনাকে Emplty/Drop Tables এ গিয়ে সেই Table টা খুঁজে বের করতে হবে এবং তা ডিলিট করে দিন ।
ইমেজ অপ্টিমাইজ করুনঃ
ছবির ব্যাপারে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে । একটি সাইট স্লও করার পিছনে বড় সাইজ এর ছবির মূল ভূমিকা থাকে । ছবির ব্যাপারে নিচের জিনিসগুলো মেনে চলবেনঃ
সবসময় 8-bit PNG ছবি ব্যাবহার করবেন । যদি দেখেন ছবিটা অনেক কমপ্লেক্স তাহলে JPEG বা 24-bit PNG ব্যাবহার করবেন ।সবচেয়ে ছোট সাইজ হয় ছবির GIF format ব্যাবহার করলে ।
কোন বড় ছবিকে ছোট আকারে ব্যাবহার করতে হলে HTML কোড দিয়ে ছোট করবেন না । এতে সাইজ টা ছোট দেখা যায় কিন্তু ফাইল সাইজ সেই বড়ই থাকে । তাই কোন ইমেজ এডিটর এ ইমেজটি নিয়ে সাইজ ছোট করে সেভ করুন । এতে ফাইল সাইজ ও ছোট হয়ে যাবে ।
http://wordpress.org/plugins/
আপনার সাইট এ কোন PNG ইমেজ আপলোড করার আগে http://tinypng.org/ ই সাইট এ গিয়ে ইমেজ গুলো Compress করে নিন ।
Cache Plugin ব্যাবহার করুনঃ
Cache প্লাগিন ব্যাবহার করলে আপনার সাইট এর কমন জিনিস গুলো যেমনঃ হেডার, ফুটার , সাইডবার এগুলো বার বার লোড হয় না । অস্থায়ী ভাবে ব্রাউজার এগুলো সেভ করে রাখে । অনেক Cache প্লাগিন আছে । এদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো হচ্ছেhttp://wordpress.org/plugins/
এটার Page Cache, Object Cache, Browser Cache enable করে দিন General Settings থেকে। আরও বিস্তারিত কনফিগারেশন এখানে দেখুন http://goo.gl/ZJrYp3
Lazy Load:
আপনার সাইটটি ব্লগ সাইট বা সাইট এ অনেক ইমেজ থাকলে আপনি Lazy Load plugin ব্যাবহার করতে পারেন। এতে আপনার সাইট এর সব ইমেজ একসাথে লোড হবে না। Scroll করে যত নিচে নামতে থাকবেন তখন ঐ অংশের ইমেজ গুলো লোড হবে। এতে সাইট এর স্পীড ভালই বৃদ্ধি পায়। Slow Speed Net Connection এর জন্য এটা ভাল কাজ করে। অনেক Lazy Load plugin আছে। এর মধ্যে আমার দৃষ্টিতে BJ Lazy Load টা ভালো।
https://wordpress.org/plugins/
Content Delivery Network (CDN) ব্যাবহার করুনঃ
CDN ব্যাবহারের ফলে আপনার সাইট এর স্পীড যেমন বাড়বে তেমনি সিকিউরিটি ও বৃদ্ধি পায় । পেইড CDN ব্যাবহারের চেষ্টা করবেন । ফ্রী CDN এর মধ্যে সব চেয়ে ভালো হচ্ছেhttps://www.cloudflare.com/ । এটা ২ জিবি ব্যান্ডউইথ আপনাকে ফ্রী দিবে প্রত্যেক মাসে ।
3rd Party Script:
বিভিন্ন সাইট থেকে আমরা অনেক সময় অনেক কিছু আমাদের সাইতে এ যুক্ত করার সময় আমাদেরকে একটি JavaScript দিয়ে বলে এগুলো Header এ ব্যাবহার করতে । কিন্তু এগুলো Header এ ব্যাবহার না করে আপনি Footer এ করবেন । তাহলে আপনার পুরো সাইট লোড হয়ার পর একদম শেষে গিয়ে এইসব স্ক্রিপ্ট লোড হবে । এতে সাইট স্লও হবে কম ।
pingbacks and trackbacks বন্ধ করুনঃ
এটা বন্ধ করতে settings>>Discussion এ যান এবং প্রথম ২ টি বক্স Uncheck করে দিন ।
Use Google Libraries
https://wordpress.org/plugins/
আমি এই প্লাগিনটি ব্যাবহার করি। এটা common javascript গুলো আপনার সাইট থেকে লোড না করে Google’s AJAX Libraries CDN থেকে লোড করে দিবে। এতে স্পীড ভালো পাবেন।
এখন আবার http://tools.pingdom.com/fpt/ থেকে আপনার সাইট এর স্পীড মাপুন । দেখুন কত টুকু বেড়েছে ।
এই ছিল আমার জানা মতে উপায়গুলো । আপনি যদি আরও উপায় জেনে থাকেন তাহলে মন্তব্যে বলুন ।