প্রতিযোগিতার এই যুগে নিজেকে শুধু টিকিয়ে রাখা নয়, দরকার এগিয়ে নেয়া। কিন্তু চাইলেই তো আর সবকিছু সম্ভব নয়। অনেক কাজের চাপ থাকলেও অল্প কাজ করে দিনপার করে দেন। অথচ গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাকি রয়ে যায়। তবে পরিকল্পিতভাবে কাজ করলে আপনিই হয়ে উঠবেন সেরাদের কাতারের একজন। আসুন দেখে নেয়া যাক, নির্ধারিত সময়ে কর্মক্ষমতাকে আরও কিভাবে বাড়িয়ে নেয়া যায়-
– ধরুন, আপনি কোনো প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বশীল অবস্থানে আছেন। এক্ষেত্রে প্রথমে আপনার কাজের দুইটি আলাদা তালিকা তৈরি করে নিন। প্রথম তালিকাতে থাকবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যা অল্পদিনের মধ্যেই করতে হবে। দ্বিতীয় তালিকাতে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো রাখুন। যেগুলো ধীরে সুস্থে করলেই চলবে।
– প্রথম তালিকাটিকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে আর দ্বিতীয় তালিকাটির কাজগুলো চলুক স্বাভাবিকভাবে। কিন্তু যে দিন আপনি হালকা কোন কাজ করবেন সেদিন দ্বিতীয় তালিকা থেকে বাছাই করে দুই-একটা কাজ হাতে নিতে পারেন।
– আপনার আসা ই-মেইলগুলোর জবাব দিতে কতটুকু সময় ব্যয় করবেন তা আগেই ঠিক করে নিন। গুরুত্বের উপর ভিত্তি করে ই-মেইলগুলোর জবাব দিন। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সময় এতে ব্যয় করবেন না কখনোই। পরে দেখবেন বলেও ফেলে রাখবেন না, এতে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুই হারাতে পারেন।
– আপনার পারগতার বাইরে কাজের চাপ নিতে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আপনি যখন চরমভাবে পরিশ্রান্ত তখন সব কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। কারণ, একদিনে অত্যাধিক পরিশ্রম কেবল আপনার কর্মক্ষমতার গতিকেই মন্থর করেনা, সঙ্গে পরের দিনের কাজের গতিকেও রোধ করে।
– কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ দিনের শেষ ভাগে করার জন্য তুলে রাখুন। যদি কাজটি শেষ করতে না পারেন তাহলেও তেমন কোনো সমস্যা হবে না।
– অল্প সময়ে বেশি অগ্রগতির চিন্তা করে বর্তমান কাজকে নষ্ট করবেন না। বরং ধারাবাহিকতা বজায় রেখে একটু একটু করে বাড়তি কাজের চাপ নিতে শিখুন, কর্মক্ষমতা এমনিই বেড়ে যাবে।
– নিয়মিত অল্প পরিমানে শরীরচর্চা বজায় রাখতে পারলে কাজের উদ্যাম আসে। অল্পতে ক্লান্তি বোধ হয় না। কাজের পুরো সময়টা আপনি ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
উপরোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলতে পারলে আপনার কর্মক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়তে বাধ্য। আর এতে আপনার কাঙ্ক্ষিত সাফল্য হাতে এসে ধরা দেবে সহজে। মনে রাখবেন, সফলতার জন্য পরিকল্পিত পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই।