কলাগাছের প্রতিটি অংশই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী

154

কলাগাছের আশ্চর্যজনক ভেষজ গুণ রয়েছে। কলাগাছের প্রতিটি অংশই স্বাস্থের জন্য অতি প্রযোজনীয়। কলপাতার রসেই এতো গুণ আছে যে, এই রস টনিক সেবে ব্যবহার করলে মানুষ সচরাচর ভোগা বহু অসুখ-বিসুখ বিশেষ করে সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, কোষ্ঠবদ্ধতা, আমাশয়, রক্তহীনতা, অল্মপিত্ত, উচ্চরক্তচাপ এবং লিভারের দোষ নাশ হয়।
কোমল কলা গাছের পাতা বিশেষ করে ভীম কলা, মালভোগ কলা, চাঁপা কলা ইত্যাদির পাতা থেতলে রস বের করে বোতলে ভরে ৫/৬ দিন ব্যবহার করা যায়। সেই রস এক চামচ চিনি বা অল্প লবন দিয়ে মিশিয়ে আধা কাপ করে দুবার খাওয়া উচিত।
ডায়বেটিস রোগীরা কলাপাতার কলাপাতার রসে চিনির না দিয়ে লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। এভাবে ১৫/২০ দিন ব্যবহার করলে ওপরে উল্লিখিত রোগগুলোর নিরাময় হয়।
কলাপাতায় রয়েছে ক্লোরোফিল নামক এক ধরনের বিশিষ্ট গুণের উপাদান। এটি আমাদের পেটের অন্ত্রের ঘা, চর্ম রোগ, রক্তহীনতা ইত্যাদি রোগ নিরাময় করে।
প্রসঙ্গত, কাঁচার চেয়ে পাকা কলা বেশি উপকারী। পাকা কলা না গিয়ে চিবিয়ে খাওয়া উচিত। ইউরোপ ও অন্যান্য দেশগুলোতে কলাপাতার রস দিয়ে ওষুধ তৈরি করে বহু রোগের চিকিৎসা করা হয়। ফ্রান্স ও ইতালির ডাক্তাররা কলাপাতার সর দিয়ে তৈরি ওষুধের মাধ্যমে টিবি, আন্ত্রিক রোগ ইত্যাদি নিরাময় করে থাকেন।
জার্মানির এক ডাক্তার বি সুইকুল ব্রংকাইটিস, নেফ্রাইটিস, রক্তক্ষরণ, সর্দি, কাশি, ইত্যাদি রোগে ভোগা রোগীদের কলাপাতার রস দিয়ে প্রস্তুত করা ওষুধ খাইয়ে ভালো করেছেন।
উল্লেখ্য, কলাপাতার রসে সাইট্রিক অ্যাসিড, ক্যাসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ট্যামিন থাকে। কাঁচা কলা আবার বেশি খাওয়া উচিত নয়। এতে প্রচুর পরিমাণে অক্সালিক অ্যাসিড থাকে যার ফলে কিডনিতে পাথর হতে পারে।

Leave a Reply