ওয়েট টিস্যু
ওয়েট টিস্যু বিশেষভাবে তৈরি হয় মুখে ব্যবহার উপযোগী করে। এতে ল্যাভেন্ডার নামক সুগন্ধি থাকে, যা ব্যবহার করলে মুখ সতেজ ও সজীব থাকে। বাইরে সব সময় পানি দিয়ে মুখ ধোয়া সম্ভব নয় বলে ওয়েট টিস্যু বেশ কার্যকরী। ওয়েট টিস্যু সহজেই ত্বকের তেল, ময়লা মুছে ফেলে। সাধারণত সানস্ক্রিনের কার্যকারিতা ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পর শেষ হয়ে যায়। এর চেয়ে বেশি সময় বাইরে থাকলে ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে আবার সানস্ক্রিন লাগান।
ক্লিনজিং মিল্ক
ক্লিনজিং মিল্ক ব্যবহারে ত্বকের ধুলা-ময়লা, তেল উঠে আসে। ত্বক পরিষ্কারের সঙ্গে ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় থাকে। তুলায় ক্লিনজিং মিল্ক নিয়ে আলতো করে মুখ মুছে ফেলুন। এরপর প্রয়োজনমতো সানস্ক্রিন বা মেকআপ লাগান। শুষ্ক ও স্বাভাবিক ত্বক পরিষ্কার করতে ব্যবহার করুন ক্লিনজিং জেল। তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের জন্য ক্লিনজিং লোশন।
সানস্ক্রিন
রোদের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ত্বক কালো হয়ে যায়। কার্যকর সমাধান হলো সানস্ক্রিন। বাজারে অনেক রকমের সানব্লক ও সানস্ক্রিন পাবেন। ক্রিম, জেল, লোশন, স্প্রে, পাউডার ইত্যাদি। ত্বক তৈলাক্ত হলে সানব্লক লোশন বেছে নিন অথবা সানস্ক্রিন পাউডার। আর শুষ্ক ত্বকের জন্য ক্রিম। হাতে ও পায়ে সানস্ক্রিন জেল ব্যবহার করুন।
ঠোঁটের জন্য বেছে নিন সানস্ক্রিনযুক্ত লিপবাম। কেনার সময় নিশ্চিত হোন সানস্ক্রিনের এসপিএফ (সান প্রটেক্ট ফ্যাক্টর) যেন ৩০-এর কম না হয়। এসপিএফ ৩০ সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন তিন ঘণ্টা রোদ থেকে সুরক্ষা দেবে। তার বেশি রোদে থাকলে আবার সানস্ক্রিন লাগান। বাইরে যাওয়ার ২০ মিনিট আগে ত্বকের খোলা অংশে সানস্ক্রিন লাগান। মেকআপ করতে চাইলে সানস্ক্রিন লাগানোর ২০ মিনিট পর করুন।
টোনার
ত্বকের অতিরিক্ত তেল, মরা কোষ, ধুলা-ময়লা, মেকআপ দূর করে টোনার। সঠিকভাবে টোনিং করলে লোমকূপের আকার স্বাভাবিক ও পরিষ্কার থাকে। ত্বকের সজীবতা বজায় রাখার পাশাপাশি মুখের ক্লান্ত ভাব দূর হয়। ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণও রোধ করে টোনার। ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুখ মোছার পর তুলায় টোনার নিয়ে মুখ ভালোভাবে মুছে ফেলুন। টোনারের প্রধান উপাদান অ্যালকোহল। বেশি অ্যালকোহল ত্বক শুষ্ক করে দেয়। তাই শুষ্ক ত্বকের জন্য কম অ্যালকোহলযুক্ত টোনার বেছে নিন। স্পর্শকাতর ত্বকে টোনার ব্যবহার না করাই ভালো। এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন গোলাপজল। তুলার বলে গোলাপজল নিয়ে পুরো মুখ মুছে ফেলুন। টোনার হিসেবে বেশ ভালো কাজ করে।
ব্লটিং পেপার
ত্বক তৈলাক্ত হলে মেকআপের কিছুক্ষণ পরই মুখের টি-জোনে তেল জমে। এ সমস্যা থেকে বাঁচতে হাতব্যাগে রাখুন ব্লটিং পেপার। এটি অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। ত্বকের যে অংশে তেল জমেছে সেখানে ব্লটিং পেপার চেপে ধরুন। তারপর হালকাভাবে কমপ্যাক্ট পাউডার বুলিয়ে নিন। মেকআপ দীর্ঘক্ষণ ভালো থাকবে।
ফেসওয়াশ
ব্যাগে ফেসওয়াশ রাখতে পারেন। ত্বকের ধরনভেদে ফেসওয়াশও আলাদা হয়। তৈলাক্ত ত্বকে লেবু বা কমলাসমৃদ্ধ ফেসওয়াশ ভালো কাজ করে। এতে মুখের তেলতেলে ভাব কমে যায়। স্ক্রাব বা দানাদার ফেসওয়াশও তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপযোগী। তবে ব্রণের সমস্যা থাকলে দানাদার ফেসওয়াশ ব্যবহার না করাই ভালো। এ ক্ষেত্রে নিম ফেসওয়াশ ভালো। ফ্রুট ফেসওয়াশ স্বাভাবিক ত্বকের উপযোগী। শুষ্ক ত্বকে আমন্ড তেলসমৃদ্ধ ফেসওয়াশ কার্যকর।