ব্যস্ততা ভরা জীবনে নিজের জন্য আলাদা করে সময় বের করা দিনকে দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। সেই সাথে কমে যাচ্ছে নিজেকে করা যত্নের পরিমাণ! সপ্তাহান্তে এক বার হয়তো করা হয়ে ওঠে নিজের পরিচর্যা। যারা এমন কর্মব্যস্ত জীবনযাপন করেন তারা গোসলের সময় নিতে পারেন নিজের সংক্ষিপ্ত যত্ন। এতে সময় যেমন কম লাগবে, তেমনি আপনি হয়ে উঠবেন সজীব ও সুন্দর।
১. গোসলের এক ঘণ্টা আগে তেল সামান্য গরম করে চুলে লাগান। গোসলের সময় শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে চুলের রুক্ষতা কমে যাবে এবং চুল তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা সহজে হারাবে না। যাদের চুল স্বাভাবিক তারা চায়ের লিকার ঠান্ডা করে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন। যাদের চুল তৈলাক্ত তারা পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন। চুল হবে ঝরঝরে ও সুন্দর।
২. যারা রোদের ঘোরাঘুরি করেন প্রচুর, তারা ত্বকের রোদেপোড়া ভাব কমাতে গোসলের সময় সাবানের পরিবর্তে সারা শরীরে উপটান ব্যবহার করুন। অথবা মুলতানি মাটির সাথে টমেটোর রস ও পানি মিশিয়ে সারা শরীরে মাখুন। পনেরো মিনিট রেখে গোসল করে ফেলুন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
৩. বাথরুমে সব সময় একটি ব্রাশ রাখুন। গোসলের পর ব্রাশ দিয়ে হাত পায়ের গোড়ালি ও নখ ঘষুন। এতে পা পরিষ্কারের পাশাপাশি পায়ের গোড়ালি থাকবে মসৃণ। এমনকি পেডিকিউর মেনিকিউর করার প্রয়োজনও খুব বেশি পড়বে না।
৪. যাদের প্রতিদিন গায়ে সাবান দেবার অভ্যাস তারা সাবানের পরিবর্তে ভালো মানের শাওয়ার জেল বা লিকুইড সোপ ব্যবহার করুন। প্রতিদিন সাবান ব্যবহার করলে ত্বক আর্দ্রতা হারিয়ে রুক্ষ হয়ে পড়ে। গোসলের পর ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
৫. যাদের ত্বক বেশি রুক্ষও, তারা গোসলের আগে সারা শরীরে অলিভ ওয়েল মাখুন। ১৫ মিনিট পরে গোসলে যান।
৬. একদিন অন্তর অন্তর স্ক্রাবিং করতে পারেন ভালো কোম্পানির বডি স্ক্রাবার দিয়ে।