ঘরেই তৈরি করুন আপনার বডি লোশন/ক্রিম

এই শীতে ত্বকের অবস্থা হয়ে যায় একেবারেই করুণ। আর্দ্রতা ধরে রাখতে হিমশিম খায় শরীর। আর আমরা ত্বকে হরেক রকমের ক্রিম, লোশন ইত্যদি ব্যবহার করে থাকি। এসব রাসায়নিকে ভর্তি প্রসাধনী যে আমাদের ত্বকের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে সেটা জানা কথা। কিন্তু শীতে ক্রিম না ব্যবহার করেও উপায় নেই। তাহলে কী করা যেতে পারে? নিজেই তৈরি করে নিন না ঘরোয়া ক্রিম বা বডি লোশন! তৈরি করতে যেমন মজা, তেমনি এটা শীতের ছোবল থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করতেও পটু।

বিজ্ঞান মানেই কি কেবল ভারী ভারী বইয়ের মাঝে থাকা দুর্বোধ্য সব নিয়মনীতি? নাকি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা মানেই শুধু ফিটফাট ল্যাবরেটরি আর বোতলে বোতলে ভরা সব রাসায়নিক? কোনটাই নয়! একদম সাধারণ কিছু উপাদান দিয়ে আপনি নিজেই তৈরি করতে পারবেন মজাদার একেকটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা। আর এই কাজ টি করার জন্য কোনও ল্যাবরেটরি প্রয়োজন হবে না, আপনার নিজের রান্নাঘরটিই যথেষ্ট!

যা যা লাগবে

– ৬ টেবিল চামচ নারিকেল তেল
– সিকি কাপ কোকো বাটার/ সাধারণ লবন ছাড়া মাখন
– ১ টেবিল চামচ ভিটামিন ই তেল
– সিকি চা চামচ এসেনশিয়াল ওয়েল (যে কোন ফ্লেভার)

যা করতে হবে
১) চুলায় কম আঁচে একটা সসপ্যান চড়ান। এর মাঝে নারিকেল তেল আর কোকো বাটার/ মাখন দিয়ে দিন। গলে না যাওয়া পর্যন্ত নাড়ুন।
২) আচ থেকে নামিয়ে নিন। ভিটামিন এ তেল এবং এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করুন।
৩) ঘরে কয়েক ঘণ্টা রেখে দিন, জমে ক্রিমের মতো হয়ে আসবে। ১০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিলেও মোটামুটি একই কাজ হয়।
৪) পুরনো একটা ক্রিমের কৌটায় ভরে রেখে দিন।

তারপর…

তারপর দরকারমত এই ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন হাত-পা, কনুই এবং পায়ের ফাটা গোড়ালিতে। মিষ্টি গন্ধের এই লোশন আপনার ত্বকের জন্য রাসায়নিক লোশনের চাইতে অনেক ভালো। এর উপাদান হিসেবে কোকো বাটার ব্যবহার না করে সাধারণ মাখনও ব্যবহার করতে পারেন, কারন কোকো বাটার সব জায়গায় পাওয় যায় না এবং দাম অনেক বেশি। শীতকালে এটা ক্রিমের মতো থাকলেও তাপমাত্রা একটু বেশি হয়ে গেলে নারিকেল তেল গলে যেতে পারে। গরমে এটা অনেকটাই লোশনের মত হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে একে ফ্রিজে রাখতে পারেন কিংবা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখেও ব্যবহার করতে পারবেন। তবে তার একটা উপকারিতা হলো, ত্বকের সংস্পর্শে এলেই সেটা গলে গিয়ে ভালোভাবে মিশে যায়। ফলে আপনার ত্বক হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত।

Leave a Reply