শীতকাল চলে এসেছে। এইসময় যে রোগগুলো বেশি দেখা দেয়, তার মধ্যে কাশি অন্যতম। কাশি খুব বিরক্তিকর এবং কষ্টদায়ক অসুখ। কাশি একবার হলে সহজে এটি ভাল হয় না। কাশির সিরাপ সব সময় কাশি ভাল করে থাকে না। আবার অনেক সময় কাশির সিরাপ খেলে ঘুম চলে আসে। এই কারণে অনেকেই কাশির সিরাপ খেতে চান না। ঘরে থাকা কিছু উপাদান দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন কার্যকরী কাশির সিরাপ। ঘরোয়া উপাদান দিয়ে তৈরি হওয়া এটির কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
১। মধু, পেঁয়াজ এবং রসুনের সিরাপ
যা যা লাগবে:
১/২ কাপ মধু
১/২ কাপ পানি
১টি পেঁয়াজ কুচি
১ কোয়া রসুন কুচি
যেভাবে তৈরি করবেন:
মধু, পানি, পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি এবং কয়েকটি অরিগ্যনো (ইচ্ছা) মিশিয়ে নিন। এটি এভাবে সারারাত রাখুন। তারপর ছেঁকে রসটুকু আলাদা করে নিন। দীর্ঘদিন ব্যবহারের জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। আপনি যদি সারারাত রাখতে না চান, তবে পেঁয়াজ, রসুন ৫-১০ মিনিট নরম না হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিতে পারেন। তবে এতে কার্যকারিতা কমে যায়।
যেভাবে কাজ করে:
মধু, পেয়াজ,রসূন সব প্রাকৃতিক অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান। Dr. Solomonian এর মতে মধু কফ কমিয়ে গলায় আরাম প্রদান করে থাকে। আপনি যদি পেঁয়াজ, রসুনের সম্পূর্ণ অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান পেতে চান তবে তা চুলায় জ্বাল দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
২। অলিভ অয়েল, মধু এবং লেবুর রস
যা যা লাগবে:
৩/৪ কাপ কাঁচা বা অপরিশোধিত মধু
১/৪ কাপ বিশুদ্ধ অলিভ অয়েল
৩টি লেবুর রস
যেভাবে তৈরি করবেন:
অলিভ অয়েল, মধু, এবং লেবুর রস মাঝারি আঁচে সিদ্ধ করে নিন। কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। এটি ফ্রিজে ৩ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন।
যেভাবে কাজ করে
অলিভ অয়েল গলার প্রদাহ দূর করে থাকে। মধু কফ দূর করে কাশি কমাতে সাহায্য করে। ১১০ জন শিশুর মধ্যে পরীক্ষা চালিয়ে দেখা যায়, যার ডেক্সথ্রোমেথোফেন খেয়েছে তাদের থেকে যেসব শিশু এক চামচ কাঁচা মধু খেয়েছে তারা কাশি থেকে দ্রুত সুস্থতা লাভ করেছে।
সিরাপটি প্রতিদিন দুইবার খান। খাওয়ার আগে কসুম গরম করে নিলে ভাল।