চটজলদি ৫ মিনিটের ‘কুইক মেকআপ’ টিপস

ক্লাস বা অফিসের পর পার্টি হোক কিংবা গেটটুগেদার, নিজেকে ভালো তো দেখাতেই হবে, তাই না? কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন ঠিকঠাক মেকআপ। এতকিছুর পর কি আর পার্লারে যাবার সময় থাকে? তাই প্রায় প্রতিবারই কোনো না কোনো সমস্যা দেখা দেয়। হয় চুল থাকে এলোমেলো, নয়তো চোখে-মুখে থাকে ক্লান্তির ছাপ। ভাবছেন কীভাবে পাবেন এসব সমস্যার চটজলদি সমাধান? আপনার জন্যই রইলো ৫ মিনিটের কুইক মেকআপ টিপস।

 

  • – প্রথমে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার লাগান। আঙুলের ডগা দিয়ে সার্কুলার মুভমেন্ট চাপ দিন। আঙুল দিয়ে মাসাজ করলে যে হিট জেনারেট হয়, তাতে ত্বকে মেকআপ তাড়াতাড়ি বসে যায়। ন্যাচারাল লুক পেতে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার বেস খুব ভালো কাজ করে।
  • – ত্বকে কোনো লালচে ভাব থাকলে বা চোখের নিচে ডার্ক সার্কেলের সমস্যা থাকলে কনসিলার ব্যবহার করুন। রিং ফিঙ্গার বা অনামিকায় সামান্য কনসিলার নিয়ে লাগান। ক্রিমি কনসিলার ব্যবহার করলেই ভালো। আপনার ত্বকের রঙের চেয়ে অর্ধেক শেড হালকা রঙের কনসিলার বেছে নিন। ডার্ক সার্কেল ও ত্বকের লালচে ভাব দূর করার জন্য এটুকুই যথেষ্ট।
  • – মুখের সুন্দর অংশটুকু যেমন চিকবোনস, কপাল, চোখ, থুতনি বা নোজ লাইন হাইলাইট করুন। চেষ্টা করুন ওই অংশের বোন স্ট্রাকচার হাইলাইট করার জন্য। হেয়ারলাইন ও নেকলাইনের সঙ্গে হাইলাইটার ভালো করে ব্লেন্ড করুন। আঙুলের ডগা দিয়ে হালকা করে ঘষুন। এতে মেকআপ ভালো করে মিশবে।
  • – গালের ফোলা অংশে (অ্যাপল অব চিকস) সারকুলার মোশনে ব্লাশ লাগান। ব্লাশ লাগানোর জন্য ফ্ল্যাট ব্রাশ বেছে নিন। এতে ত্বকের ওপর ব্লাশ ভালো করে বসবে।
  • – ল্যাশ কার্লার দিয়ে চোখের পাপড়ি কার্ল করে নিন। তারপর মাসকারা লাগান। চোখের নিচের পাতার পাপড়িতে মাসকারা লাগাবেন না।
  • – শেষে লুজ পাউডার দিয়ে মেকআপ শেষ করুন। মুখের পুরো অংশে পাউডার না বুলিয়ে অল্প করে পাউডার লাগাবেন।

টিপস
চুল ঠিকঠাক করার জন্য হাতে পর্যাপ্ত সময় না থাকলে সিম্পল একটা পনিটেল করুন। সামান্য একটু হেয়ার স্প্রে লাগিয়ে নিন, চুল উড়বে না। আকর্ষণীয় কানের দুল পরুন। তাত্‍ক্ষণিক সাজের জন্য এটা খুবই কাজে দেয়। হাই হিল পরতে পারেন। দেহভঙ্গিমায় এক ধরনের আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে সাহায্য করবে। পছন্দের পারফিউম স্প্রে করে নিন, ভালো লাগবে।

Leave a Reply