চা বানানোর আদর্শ পদ্ধতি

চা অতি যত্নের সঙ্গে প্রস্তুত করে ব্রিটিশরা। আমরা যে লিকার চা বা দুধ চা খাই, তা মূলত ব্রিটিশদের চা বানানোর পদ্ধতি থেকেই শেখা।

tee-tea

১. চা বানানোর আগে কাপে দুধ দিতে হবে, নাকি পরে? এ নিয়ে দারুণ বিতর্ক চলে ব্রিটেনে। এর পক্ষে-বিপক্ষে বহু মতামত প্রচলিত রয়েছে।

২. চায়ে দুধ দেওয়ার বিষয় নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছে ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ডস ইনস্টিটিউশন (বিএসআই)। সেই ১৯০১ সালে তারা জানায়, প্রথমে চা পানিতে ফুটিয়ে ফেনিল করতে হবে। এরপর কাপে চা ঢালার আগে তাতে পরিমাণমতো দুধ নিতে হবে।

৩. আবার যারা চায়ের ওপর একটু ক্রিম মিশিয়ে নিতে চান, তাঁরা কাপে চা ঢেলে এরপর দুধ মেশানোর পক্ষে। দুধের ঘন হালকা বাদামি আস্তর চায়ে বেশ স্বাদ ও চেহারা দেয়।

৪. অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, চা নেওয়ার আগেই কাপে দুধ তো নিতেই হবে, বরং যে পানিতে চা ফোটাচ্ছেন এর প্রতি ১০০ মিলিলিটার পানিতে ৫ মিলিলিটার পরিমাণ দুধ মিশিয়ে তাতে চা পাতা দিতে হবে। এতে করে কাপের দুধে যখন চা ঢালা হবে, তখন চা তাপ হারাবে না এবং হঠাৎ করে দুধের সঙ্গে মিশে কোনো কটু গন্ধ সৃষ্টি করবে না।

৫. পানিতে চায়ের পাতা ফেলে তা ঠিক ৬ মিনিট পর্যন্ত ফোটাতে হবে। এতে চায়ের গন্ধের সর্বোচ্চটুকু বেরিয়ে আসবে।

৬. চায়ের পানি ১৮৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রায় ফোটানো উচিত নয়। এতে চা বা দুধের পোড়া গন্ধ বেরোতে পারে।

৭. এসব নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটলে নিকৃষ্ট এক কাপ চা ছাড়া আর কিছুই পাবেন না বলে সাবধান করে দিয়েছে বিএসআই।

বিশেষজ্ঞ লেখক জর্জ অরওয়েল কাপে চা নিয়ে তারপর তাতে দুধ নেওয়ার পক্ষে। তাঁর যুক্তি হলো, প্রথমে চায়ের লিকার নিয়ে তাতে কতটুকু দুধ নিতে হবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়। আগে দুধ নিলে তাতে দুধের পরিমাণ বেশি হতে পারে। তখন এক কাপ বিচ্ছিরি চা খাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ থাকে না।

Leave a Reply