মুখরোচক খাদ্য হিসেবে মাশরুম এর প্রচলন শুরু হয় প্রাচীন মিসরে। প্রায় তিন হাজাররও বেশি সময় আগে মিসরের ফারাওদের কাছে এটি ছিল জনপ্রিয় এক খাবার। তখন কেবল অভিজাতরাই এর স্বাদ গ্রহণ করতে পারত। ১০০ গ্রাম শুকনা মাশরুমে আছে ১৯ থেকে ৩৫ শতাংশ প্রোটিন। এছাড়া আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ফলিক অ্যাসিড ও লৌহ। উপকারী এই মাশরুমের সাথে পোলাওয়ের চাল ও মুরগির মাংসের সমন্বয়ে তৈরি করা হয় চিকেন মাশরুম বিরিয়ানী।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
- পোলাওয়ের চাল আধা কেজি
- মুরগির মাংস ১ কেজি
- মাশরুম ২৫০ গ্রাম
- তেল ২০০ গ্রাম
- তরল দুধ ২০০ মিলিলিটার
- টক দই আধা কাপ
- আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
- পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ
- বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ
- চিনি ২ চা চামচ
- পোস্তদানা বাটা আধা টেবিল চামচ
- মাওয়া ১ টেবিল চামচ
- কাঁচামরিচ ৫টি
- গরম মসলা সামান্য
- গরম মসলা গুঁড়ো ১ চা চামচ
- আলু টুকরা ২৫০ গ্রাম
- কিশমিশ, কাজু
- পেস্তা কুচি ১ টেবিল চামচ
- কেওড়া জল ১ টেবিল চামচ
- লবণ পরিমাণমতো
প্রস্তুত প্রণালী:
- মাশরুম কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে নিন।
- আলু ও মাংস ৪ টুকরা করে কেটে ধুয়ে নিন।
- কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ বেরেস্তা করুন।
- অর্ধেক পেঁয়াজ বেরেস্তা, আদা, রসুন, পোস্তদানা বাটা, টক দই, বাদাম বাটা দিয়ে মাংস মেরিনেট করে রাখুন ৩০ মিনিট।
- আলু ও মাশরুম হালকা ভাজুন। এবার বেরেস্তা করা তেলে মসলা-মাখানো মুরগি লবণ দিয়ে হালকা কষিয়ে নিন। এরপর আলু ও মাশরুম দিয়ে দিন।
- মাংস চুলা থেকে উঠিয়ে কড়াইয়ে ১ কেজি পানি দিন। পানির মধ্যে ১ টেবিল চামচ বেরেস্তা, তরল দুধ, ১ চা চামচ আদা বাটা, গোটা গরম মসলা ও পরিমাণমতো লবণ দিন।
- পানি ফুটে উঠলে চাল দিন। ১ চা চামচ চিনি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। ১০ মিনিট বেশি জ্বালে দিয়ে পরে আঁচ কমিয়ে দিন।
- মাওয়া, কিশমিশ, বাদাম কুচি, কাঁচামরিচ, বাকি পেঁয়াজ বেরেস্তা, ১ চা চামচ চিনি দিয়ে মেখে নিন।
- পোলাও আধাসিদ্ধ হলে আলু, মাশরুম, মাংস ও মাখানো বেরেস্তার মিশ্রণ স্তরে স্তরে দিয়ে ২০ মিনিট দমে রেখে গরম গরম পরিবেশন করুন।