চুল ঠিক রাখতে আমরা সবসময় শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করে থাকি। তবে একেক জনের চুল একেক রকম হওয়ায় শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারও আলাদা হওয়া জরুরী। আসুন রূপ-বিশেষজ্ঞর পরামর্শে জেনে নিই চুলের ধরণ অনুযায়ী কোন রকম শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
কোন চুলে কী শ্যাম্পু
* তৈলাক্ত চুলে প্লেন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। দেখতে স্বচ্ছ হলে বুঝবেন প্লেন শ্যাম্পু। ডিটারজেন্ট বেস শ্যাম্পু বা ঘন ক্রিমের মতো শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। তৈলাক্ত চুল শ্যাম্পু করার পর নেতিয়ে থাকে। শ্যাম্পুর সঙ্গে সামান্য বেকিং পাউডার মিশিয়ে নিন। চুলের গোড়ার অতিরিক্ত তেল চুষে নেবে।
* শুষ্ক চুলে ময়েশ্চারাইজার ছাড়া ক্লিয়ার শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। ওমেগা থ্রি আছে এমন ময়েশ্চারাইজার শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
* চুলে স্বাভাবিক মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন, যা চুলের ময়েশ্চার ধরে রাখবে। স্ক্যাল্পে র্যাশ, চুলকানি হবে না- এ রকম শ্যাম্পু বেছে নিন।
* কোঁকড়ানো চুল হলে ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু বেছে নিন। সপ্তাহে দুবার অলিভ অয়েল বা কাস্টার অয়েল লাগান। সকালে শ্যাম্পু করুন। চুলের ময়েশ্চার বজায় থাকবে।
* কালারড চুলের স্ক্যাল্পে পরিষ্কার করার দিকে বিশেষ নজর দিন। কালারড চুলের জন্য নির্ধারিত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
* পাতলা চুল সহজে নেতিয়ে যায়। লেবু, ফলের রসসমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। ফ্রুট এসিড চুলের তেল-ময়লা পরিষ্কার করে, চুলের ভলিউম বাড়ায়।
কোন চুলে কী রকম হেয়ার কন্ডিশনার
* রুক্ষ চুলে ময়েশ্চার ও প্রোটিনসমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। ভিটামিন-ই অ্যালোভেরাসমৃদ্ধ কন্ডিশনারও শুষ্ক চুলের জন্য ভালো।
* তৈলাক্ত চুলে এমন কন্ডিশনার ভালো, যাতে ফ্যাটি এসিড কম থাকে।
* বেশ কয়েক দিন চুল পরিষ্কার করার পর যদি জট না পড়ে বা ভেঙে না যায়, তাহলে আপনার স্বাভাবিক চুল। এ ধরনের চুলের জন্য লিভ অন কন্ডিশনার আদর্শ।
* কোঁকড়ানো চুলের স্ক্যাল্পের অয়েল চুলের শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছায় না। এ ধরনের চুলের জন্য ডিপ কন্ডিশনার, যা চুলের ময়েশ্চার বজায় রাখে। জোজোবা অয়েল, অ্যাভোকাডোসমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
* কালার চুলের জন্য যেসব কন্ডিশনার বাজারে পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করুন। হারবাল কন্ডিশনার এ ধরনের চুলের জন্য ভালো।