চকলেট খেতে চাইলে অভিভাবকদের সবসময়ই না। প্রায় সবারই ধারণা চকলেট অস্বাস্থ্যকর একটি খাবার।
আসলে কিন্তু তা নয়। বাচ্চাদের নিষেধ না করে অভিভাবকদেরও উচিত প্রতিদিন একটু করে চকলেট খাওয়ানো। কারণ প্রতিদিন একটুখানি চকলেট দূর করতে পারে নানা শারীরিক সমস্যা। তবে তা অবশ্যই হতে হবে ডার্ক চকলেট এবং খেতে হবে পরিমাণ মতো।
১) ডায়েরিয়া সমস্যা সমাধান
সাউথ আমেরিকা এবং ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে ডায়েরিয়া সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করা হয় কোকোয়া। চকলেটের ফ্লেভানোয়েড প্রোটিনের সাথে যুক্ত হয়ে পাকস্থলীর ফ্লুইড নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়রিয়া সমস্যা সমাধান করে।
২) কাশি থেকে মুক্তি
থিওব্রোমাইন এবং কোডেইন দীর্ঘমেয়াদী কাশি দূর করতে সহায়তা করে। এগুলো আমাদের ভেগাস নার্ভের ওপর কাজ করে এবং ভালোলাগা ও ঘুমের সৃষ্টি করে থাকে। যার ফলে কাশির উদ্রেক কম হয়। এবং সবচাইতে ভালো ব্যাপারটি হল সাধারণ কাশির ঔষধের মতো চকলেটের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
৩) মানসিক চাপ দূরে রাখে
বিজ্ঞানীরা দেখতে পান প্রতিদিন মাত্র আধা আউন্স অর্থাৎ মাত্র ২৮ গ্রাম ডার্ক চকলেট টানা ২ সপ্তাহ খেলে আমাদের মস্তিষ্কে স্ট্রেস হরমোনের অনেক কম নিঃসরণ ঘটে। এতে করে আমাদের মানসিক চাপ অনেকাংশেই আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
৪) হৃদপিণ্ডের সুরক্ষা
গবেষণায় দেখা যায় সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ডার্ক চকলেট খাওয়ার অভ্যাস হৃদপিণ্ড জনিত সমস্যায় পড়ার ঝুঁকি প্রায় এক তৃতীয়াং কমিয়ে দেয়া এবং হার্ট ফেইলিওরের ঝুঁকি কমায় প্রায় ৩৫%।
৫) ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ
ডায়বেটিসের রোগীদের সাথে অনেকেই চকলেট মেলাতে পারেন না। কিন্তু গবেষণায় দেখা যায় চিনি ছাড়া ডার্ক চকলেট ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। চকলেটের ফ্লেভানয়েড দেহে নাইট্রিক অক্সাইড উৎপন্ন করে যা দেহের ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৬) সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বকের সুরক্ষা
লন্ডন ইউনিভার্সিটির গবেষকগণ একটি রিসার্চে প্রকাশ করেন চকলেটের ফ্লেভানল সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির বিরুদ্ধে আমাদের ত্বকের উপর একটি প্রতিরক্ষা পর্দা তৈরি করে। এতে করে আমাদের রক রক্ষা পায়।