ওষুধের গুণে ভরা তুলসীর কদর সবার কাছে। তুলসীতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবেও দারুন ভূমিকা তুলসীর। ছত্রাক ও অন্যান্য জীবাণুনাশকের কাজ করে তুলসী পাতা। তাছাড়া শীত এলে শরীরে বাড়ে নানা রোগের উৎপাত। এই উৎপাত থেকে বাঁচতে তুলসীর তুলনা হয় না। আসুন জেনে নেয়া যাক, বহুগুণে গুণান্বিত এই তুলসীর আরো কিছু গুণ সম্পর্কে।
১. নিয়মিত তুলসী পাতার রস খেলে উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহের মাত্রা ঠিক রাখে। লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
২. তুলসীর রস হাড়ের গিঁটে ব্যথা দূর করে। শরীরের কাটাছেঁড়া দ্রুত শুকাতে অবদান রাখে এই তুলসী।
৩. শীতে বাচ্চাদের তুলসী পাতার রস খাওয়ালে কৃমি দূর হবে এবং মাংসপেশি ও হাড় হবে শক্তিশালী।
৪. জ্বর হলে পানির মধ্যে তুলসী পাতা, গোল মরিচ এবং মিশ্রী মিশিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করে নিন। অথবা এগুলো দিয়ে বড়ি বানিয়ে দিনে তিন থেকে চারটা বড়ি খান। জ্বর খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।
৫. কাশি হলে তুলসী পাতা এবং আদা একসঙ্গে পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান। এতে উপকার পাবেন।
৬. ডায়রিয়া হলে ১০ থেকে বারোটি পাতা পিষে রস খেয়ে ফেলুন, দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।
৭. মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে ৪ থেকে ৫ বার তুলসী পাতা চিবাতে পারেন। দুর্গন্ধ দূর হবে।
৮. শরীরে কোনরকম ঘা হলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে লাগান। উপকার পাবেন।
৯. শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে গেলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান, এতে জ্বালাপোড়া কমে যাবে। পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে এবং পোড়া দাগও ওঠে যাবে।
১০. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য, ত্বকের বলীরেখা এবং ব্রণ দূর করতে তুলসী পাতা পিষে মুখে লাগান।
১১. প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করতে হলে তুলসী পাতার রস, ২৫০ গ্রাম দুধ এবং ১৫০ গ্রাম পানির মধ্যে মিশিয়ে পান করুন।