তুলসী পাতার গুণাগুণ !!!

তুলসী পাতার গুণাগুণ !!!

ব্রিটিশরা যখন ভারতে পা রাখে তখন মশার অত্যাচার থেকে বাঁচতে তুলসীর শরণাপন্ন হয়। তারা বাংলোর চারদিকে তুলসী ও নিমের গাছ লাগিয়ে নিল। ব্রিটিশদের বিস্ময়ে পরিণত হয় তুলসী গাছ। তারা একে বলত ‘মসকিউটো প্লান্ট’। তুলসীতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাংগাল উপাদান রয়েছে। এগুলো রক্ত পরিশুদ্ধ করে। বিপাকক্রিয়ার সুষ্ঠুতায় এর ভূমিকা চমকপ্রদ। এ গাছের ফাইটোকেমিক্যাল বয়সের কারণে দেহের ক্ষয় নিরাময় করে। এমনকি দেহে ইনসুলিন উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে রক্তে চিনির পরিমাণ কমিয়ে দেয়।

নিচে তুলসী গাছের পাতার কিছু গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা করা হলো :

১. পানিতে তুলসী পাতার সঙ্গে এলাচ ফুটিয়ে পান করলে নিমিষেই জ্বর চলে যায়।২. মানবদেহের যেকোনো ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে তুলসীর পাতা অনন্য। এতে রয়েছে জীবাণুনাশক ও সংক্রমণ শক্তিনাশক উপাদান।৩. ব্রংকাইটিস, অ্যাজমা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং ঠাণ্ডা-সর্দিতে তুলসী পাতার সঙ্গে মধু ও আদার মিশ্রণ দারুণ কাজ করে।৪. খালি পেটে তুলসীর পাতা খেলে কিডনির পাথর দূর হয়। বহুকাল ধরে কিডনির পাথর দূরীকরণে এ চিকিৎসা নেওয়া হয়।৫. তুলসীর পাতায় তৈরি হালকা গরম জুস পাকস্থলীর প্রদাহ নিরাময় করে।৬. মুখের দুর্গন্ধ, দাঁতের ক্ষয়সহ অন্যান্য দন্ত চিকিৎসায় তুলসী অতুলনীয়। পুঁজযুক্ত স্রাবের চিকিৎসায়ও তুলসী ব্যবহৃত হয়।৭. রাতকানা রোগ সারাতে প্রাচীনকাল থেকে তুলসীর ব্যবহার প্রচলিত।৮. দেহ থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করে তুলসী। বহু বিশেষজ্ঞের দাবি, ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও তুলসী ভালো ফল দিতে পারে।

দুটি রেসিপি : বিভিন্নভাবে খাদ্য তালিকায় তুলসীর ব্যবহার করতে পারেন। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি রেসিপি :

১. তুলসীর চা : আধা চামচ আদা কুচি, ১২-১৫টি তুলসী পাতা এবং এক চামচের চার ভাগের এক ভাগ এলাচ গুঁড়ো তিন কাপ পানিতে ১০ মিনিট ধরে ফুটিয়ে নিন। সামান্য মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে উপভোগ করুন তুলসীর চা।

২. তুলসীর সালাদ : এক কাপ শসা কুচি, ১২-১৫টি তুলসী পাতা, ৫০ গ্রাম টুকরা পনির, একটি লেবুর রস, এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, সামান্য লবণ এবং স্বাদের জন্য মরিচ। সব উপকরণ মিশিয়ে উপভোগ করুন তুলসীর সালাদ।

Leave a Reply