দ্রুত সাজতে ৫টি উপকরণ

সাজগোজে নাকি নারীরা বেশি সময় ব্যয় করে- অধিকাংশ পুরুষই এ অভিযোগ করে থাকেন। কিন্তু নিজিকে সুন্দর ও পুরপূর্ণভাবে সাজাতে গেলেতো একটু সময়তো লাগবেই। বর্তমান সময়ে চাকরিজীবী নারীর সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। আর তাই আগের মতো সাজগোজের পেছনে অধিক সময় ব্যয় করার মতো সময় কোথায় তাদের? তাই বলেতো সাজগোজ একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে না। কর্মস্থলে যাওয়ার আগে অথবা কর্মস্থল থেকে ফিরে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগে যতটুকু সময় পাওয়া যায় তার মধ্যেই সাজাতে হবে নিজেকে। আর এর জন্য প্রয়োজন এমন কিছু প্রসাধনী যা আপনাকে অল্প সময়ে দ্রুত সাজতে সাহায্য করবে। এরকম পাঁচটি উপকরণ নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।

কনসিলার:

যুতসই কোনো ফাউন্ডেশান দিয়ে মেকআপ করার আগে কনসিলার ব্যবহার করে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি প্রাপ্তি ঘটতে পারে। কনসিলার ব্যবহারে মুখমণ্ডলের ছোট ছোট ক্ষত মার্কা খুঁত, দাগ দূর হয় খুব সহজে। আর বসে যাওয়ার চোখের লাইনআপকে সবল ও প্রাণবন্ত করে তোলে কনসিলার।

মজার ব্যাপার হলো কম সময়ের মেকআপ করতে পরিমিত কনসিলার ব্যবহার এতটাই প্রাকৃতিক মনে হয় যে ত্বকে কিছু লাগানো হয়েছে কি না- তা বোঝাই যায় না। তবে এটা ব্যবহারের সময় কোনোভাবেই ঘষাঘষি করা যাবে না। অল্পমাত্রায় নিয়ে কোমনীয় ব্রাশ, স্পঞ্জ অথবা আঙুলের ডগা দিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় (স্থানে) লাগাতে হবে।

বিবি ক্রিম:

বয়সের ছাপ আর ময়শ্চারের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ফাউন্ডেশন, কনসিলার, হাইলাইটার, সানস্ক্রিন কতো কিছুই না মাখামাখি করা হয়। তবে এতো সবের আয়োজন না করে সব কিছুর বিকল্প হিসেবে শুধু বিবি ক্রিম একাই যথেষ্ট। তাই মেকাপ পটিয়সী প্রত্যেকের ব্যাগে এই ক্রিম পাওয়া যায়। আধুনিক এই মেকআপ সঙ্গী (বিবি ক্রিম) ব্রণ ও এরমতো বিরক্তিকর দাগ ঢেকে দিয়ে ত্বককে খুব মসৃণ করে তুলে খুব সহজে। এটাকে খণিজ মেকাপের সঙ্গেও তুলনা করা হয়ে থাকে।

আইলাইনার বা আইশ্যাডো:

আই লাইনার আর আইশ্যাডো দুটো একসঙ্গে ব্যবহারের কোনোই দরকার নেই। দ্রুত সাজগোজের সময় যে কোনো একটা চয়েস করাই বুদ্ধিমানের কাজ। হালকা সাজের জন্য ত্বকের ধরণ বুঝে আইশ্যাডোর ব্যবহারই ভালো। তবে মোটা দাগে সাজতে গেলে আইলাইনার বেশি উপযোগী। কম সময়ে বেশি সাজ দেখাতে শুধু চোখের উপরের পাতায় মোটা করে মাসকারার লাইন দেয়া যায়। দ্বিতীয়বার দিতে এটা শুকানোর মতো সময় হাতে নেই তাই সঙ্গে সঙ্গে আবার লাইন এঁকে বিশ্রী নকশা না করাই ভালো।

তামাটে ও রক্তিম আভা:

ত্বক অল্প একটু চটচটে ধরনের হলে তা লুকাতে তামাটে ভাব কিংবা রক্তিম আভা আনে সৌন্দর্য্য পূজারীরা। তবে তা যেন অনেক বেশি কালারফুল না হয়। এ আভা যেন স্বাভাবিক ত্বকের কাছাকাছি থাকে। এটা কোনোভাবেই আলাদা একটা শ্যাডোর মতো যেনো বোঝা না যায়।

লিপ গ্লস:

ঠোঁটে লিপ গ্লসের আলতো ছোঁয়া না দিলে যেন সাজগোজই অসমাপ্ত থেকে যায়। এটা ব্যবহার করতে এতো কম সময় লাগে যে তা কাউন্টই করা হয় না। আর কারও সামনে যাওয়ার আগে চট করে এর ব্যবহারে নিজেকে দারুণভাবে উপস্থাপন করা যায়। এক্ষেত্রে এর জুরি মেলা ভার। দ্রুত মেকআপ কমপ্লিট করতে গেলে লিপস্টিক নিয়ে টিপটিপ করে সময় খেয়ে বিরক্ত হওয়ার চেয়ে লিপ গ্লসের কম্বিনেশনটা অনেক সহজ।

তবে লিপস্টিক ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই সবার আগে ঠোঁটের লাইনআপ করে নিতে হবে। তারপর তা রঙ্গিন করে তুলতে হবে। আর দীর্ঘ সময়ের জন্য সাজতে লিপস্টিক ব্যবহার করে ঠোঁটকে ছায়াবৃত করার বিকল্প অন্য কিছু মেলা ভার।

Leave a Reply