জীবনের শেষদিকে এসে মানুষ অনেক বেশি স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে। সে স্মৃতি কখনো হাসায়, কখনো কাঁদায়। নারীরা অতীতের কথা মনে করে, একটু বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৯৬ শতাংশ নারী জীবনের শেষ ভাগে নিজের অতীতের কথা মনে করে নিজেকে অসুখী ভাবেন এবং অপরাধবোধে ভোগেন। নিজেকে অসুখী ভাবার যথেষ্ট কারণ যেমন: নিজেকে সময় না দেয়া, নিজের বাব-মাকে খেয়াল করতে না পারা, নিজের ভবিষ্যতের চিন্তা না করা।
অনেক নারী আছেন যারা জীবনে কোনো দিন ‘না বলতে’ পারেননি। নিজের অনিচ্ছার বিরুদ্ধে বন্ধু-বান্ধুবী, পরিবার কিংবা কাছের মানুষের অনুরোধ রক্ষা করেছেন। যা নারীদের জন্য এক সময় কষ্টের কারণ হয়ে দাড়ায়। এবং মানসিক অশান্তিতে ভোগায়। জীবনের শেষ দিকে ‘না বলতে’ না পারার কারণে অনুশোচনায় ভোগেন।
ক্যারিয়ার, চাকরি সন্তানের কারণে যৌবনে নিজেকে সময় দিতে না পেরে অধিকাংশ নারী জীবনের শেষ দিকে এসে আফসোস করেন।
সত্যিকারের ভালোবাসা দিতে কিংবা নিতে না পারলে নারীরা অনুশোচনা করেন। অর্থাৎ বাবা-মা কিংবা স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকদের নিয়ে সুখী হতে না পারলে নারীরা জীবনের শেষদিন পর্যন্ত আফসোস করেন।
স্বামী, সন্তান ও সংসারের কথা ভেবে অনেক নারী উচ্চ শিক্ষা কিংবা ভালো চাকরি পেয়েও না করতে পারলে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অনুশোচনা করেন।
সন্তানকে যথেষ্ট সময় দিতে না পারা কিংবা সন্তানের যা চায় তা দিতে না পারলে নারীরা অনুশোচনায় ভোগেন।
ভালো রান্না করতে না পারলে অধিকাংশ নারী কষ্ট পান। নারীরা সবসময় স্বামী, সন্তান, বাবা মাকে ভালো করে রান্না করে খাওয়াতে পছন্দ করেন।
নারীরা সমাজ কিংবা পরিবারের কথা চিন্তা করে নিজের মনের চাওয়া পাওয়াকে বিসর্জন দেয়। বিসর্জন দিতে দিতে একটা সময় যখন নারীরা সমাজ ও পরিবার থেকে কিছু পায় না তখন তারা নিজের মনের চাওয়া পাওয়াকে মূল্যায়ন না করার কারণে মানসিক কষ্টে ভোগেন।
ঠিকমতো পড়ালেখা না করা এবং অলস সময় নষ্ট করার কারণে নারীরা এক সময় অনুশোচনায় ভোগেন। ভবিষ্যতের কথা ভেবে নিজের জন্য সঞ্চয় করে না রাখা নারীকে এক সময় পীড়া দেয়।
বিয়ের পর নারীরা শ্বশুড় বাড়িতে চলে যায়। এসব কারণে তারা তাদের বাবা মাকে যথেষ্ট পরিমান যত্ন নিতে পারেন না। গবেষণায় দেখা গেছে, ৯৯ শতাংশ নারী বাবা মাকে খেয়াল করতে না পারার কারণে অনুশোচনায় ভোগেন।
সঙ্গীকে খুশি করতে না পেরে নারীরা অনুশোচনায় ভোগেন। ৮০ শতাংশ নারী সঙ্গীকে খুশি করতে না পারার কারণে মনোকষ্ট পান।
অতিরিক্ত ওজন হলেও নারীরা অনুশোচনায় ভোগেন। তারা ওজন বাড়ার কারণ হিসেবে সম্পূর্ণ নিজেকে দোষী ভাবেন।