নিজেই করুন নিজের ফ্রেশিয়াল

ফ্রেশিয়াল মূলত করা হয় ত্বকের সৌন্দর্যের জন্য। এছাড়াও দাগের জন্য, ব্রণের জন্য, মেছতা, এলার্জি, এ্যানি, রংয়ের ময়লা পরিষ্কার করে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে ফ্রেশিয়াল করা হয়। তবে ত্বকের ধরন বুঝে ফ্রেশিয়াল করা উচিত।….
১৮ বছরের পর থেকে হারবাল ফ্রেশিয়াল করা যায়, যার কোন প্বার্শ প্রতিক্রিয়া নেই। সাধারণত ত্বকের সতেজতা, উজ্জ্বলতা এবং ময়লা পরিষ্কারের জন্য ফ্রেশিয়াল সবসময় করা যায়। তবে যাদের ত্বকের সমস্যা আছে তারা সপ্তাহে একবার করে মাসে চার বার এবং যাদের সমস্যা নেই তারা সতেজতার জন্য মাসে একবার ফ্রেশিয়াল করতে পারে। তবে যারা প্রতিনিয়ত করে তাদের ত্বকে কোন সমস্যা হয়না।

বাসায় করার জন্য কিছু ফ্রেশিয়াল প্যাকের ব্যবহারের নিয়ম নিচে দেয়া হল:
নিম ফ্রেশিয়াল: দাগ, অল্প মেছতা, এলার্জি ইত্যাদি সমস্যার জন্য এই প্যাকটি বাসায় এনে প্রতিদিন ব্যবহার করা যেতে পারে, যার কোন প্বার্শ প্রতিক্রিয়া নেই। বরং এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই প্যাকটির দাম মাত্র ৪০ টাকা। বিশুদ্ধ পানি দিয়ে সামান্য পরিমাণ গুলিয়ে চোখ বাদ দিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে একটি প্যাকই ব্যবহার করা যায় অনেক দিন।

এন্টি পিমপল: মুখে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্রণ থাকলে এই প্যাকটি এনে এক দিন পর পর ব্যবহার করা যেতে পারে। শারীরিক কোন অসুস্থতা না থাকলে অবশ্যই ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই প্যাকটির দাম ৪০ টাকা। একইভাবে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে সামান্য পরিমাণ গুলিয়ে চোখ বাদ দিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।

পার্ল: সপ্তাহে একদিন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা যায়। এই প্যাকটি ২৫০ গ্রাম। একইভাবে মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
তবে যত কিছুই মুখে লাগানো হোক না কেন বাহির থেকে ফিরে এবং রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। তা নাহলে মুখে ময়লা জমে বিভিন্ন সমস্যা হবে। আর মুখের ত্বক অনেক বেশি কোমল বলে অবশ্যই ত্বকের সমস্যার জন্য কোন অভিজ্ঞ বিউটিশিয়ানের অথবা কোন ত্বক
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।

Leave a Reply