১) তার কিংবা তার পরিবারের উপার্জনের উৎসগুলো কী কীতিনি আপনার মনের মানুষ বলেই কোন অপরাধ মূলক বা অনৈতিক কাজের সাথে যুক্ত নন, এটা ভাবাটা বোকামি। কেবল তিনিই নয়, তার মা-বাবা-ভাই-বোন তথা সম্পূর্ণ পরিবারের পেশা সম্পর্কেই বিস্তারিত জেনে নেয়া খুবই জরুরী।
২) পরিবারে কোন মানসিক রোগী আছে কি?
মানসিক রোগ, উন্মাদনা ইত্যাদি ব্যাপারগুলো অনেক কারণেই হতে পারে। তবে পরিবারে কেউ মানসিক রোগী থাকলে অন্য কারো মাঝেই জেনেটিকভাবে এই রোগ হবার প্রবণতা দেখা যায়। হয়তো আপনার মনের মানুষের নেই, কিন্তু আপনার ভবিষ্যৎ সন্তানদের হতে পারে। তাই জেনে রাখাটা জরুরী।
৩) খোঁজখবর নেয়া উচিত তাঁদের স্থায়ী ঠিকানা ও পরিচিত জনেরা কী বলেন তাঁদের ব্যাপারে
স্থায়ী নিবাস আসলেই আছে কিনা কিংবা সেখানে আত্মীয় বা পাড়া প্রতিবেশীরা তাঁদের সম্পর্কে কী বলেন, এই ব্যাপারটি হাস্যকর মনে হলেও ফেলনা নয়। কারণ সেটা জানলে বুঝতে পারবেন পরিবার হিসাবে তাঁরা কেমন, এবং সমাজের অন্যদের কাছে তাঁদের অবস্থান কী।
৫) রোগবালাইয়ের ইতিহাস
কেবল মনের মানুষ নয়, তার পরিবারের অন্যান্য রোগ বালাইয়ের ব্যাপারেও জেনে রাখা উচিত আপনার। অনেক অসুখই আছে যেগুলো জেনেটিক এবং আজকাল এসব জেনেটিক ডিসঅর্ডার খুব বেশি হতে দেখা যায়। একই সাথে মনের মানুষটির রোগ বালাইয়ের ব্যাপারে জেনে রাখা আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও জরুরী।
৬) আজ থেকে ১০ বছর পর নিজেকে তিনি কোথায় দেখতে চান
যে মানুষটির সাথে জীবন কাটাতে চান, তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জেনে রাখাটা কি জরুরী নয়? নাহলে বুঝবেন কীভাবে যে একসাথে জীবন কেমন হবে।
৭) আপনার জন্য তিনি কী কী করতে আগ্রহী
ভালোবাসা আছে ভালো কথা। কিন্তু আপনার জন্য তিনি কী কী করতে পারবেন, কতদূর যেতে পারবেন? কিছু ছোট ছোট পরীক্ষায় বিষয়টি জেনে নেয়ার চেষ্টা করুন।
৮) তার পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত
তার পরিবারের মানুষগুলো কেমন, এটা জেনে নেয়া খুবই জরুরী। কেননা সেই মানুষগুলো একসময় আপনারও আপনজন হবেন।
৯) একজন অসুস্থ, অক্ষম স্বামী/স্ত্রী সম্পর্কে তিনি কী ভাবেন
জীবনের কথা কেউ বলতে পারে না। একটা বড় ধরণের অসুখে আপনি অসুস্থ বা অক্ষম হয়ে যেতেই পারেন। তখন মনের মানুষটির কী রি অ্যাকশন হবে? অনেকেই আছেন যারা স্বামী বা স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ত্যাগ করেন বা অবহেলা করেন। বিশেষ করে পুরুষেরা। আপনার মনের মানুষটি এই ব্যাপারে কী ভাবেন, সেটাও জেনে রাখতে হবে বৈকি।