নিমপাতা দিয়ে মাথার উকুন সমস্যা রোধ করুন !

rupcare_hair problem

নারী কিংবা পুরুষ সকলের মাথাতেই চুল থাকে। এবং চুল অবশ্যই সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ। কিন্তু চুলে যদি কোনভাবে দেখা দেয় উকুনের আক্রমণ তখন খুব সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একটু পর পর তো মাথা চুলকায়ই, যেখানে-সেখানে গেলে ঘনিষ্ঠ মানুষেরাও বিরক্তবোধ করেন। সব মিলিয়ে মাথায় উকুনের আক্রমন আসলে খুব লজ্জাজনক ব্যাপার। চুলের যত্ন নিয়ে, উকুন নাশক সাবান, শ্যাম্পু ব্যবহার করেও কোন উপকারিতা পাওয়া যায় না। তাই এই সমস্যার দ্রুত রোধ করার জন্য আছে নিম পাতা।

নিমপাতার গুনাগুন সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। নিমপাতা বিশেষ করে প্রাকৃতিক উপায়ে রোগ চিকিৎসা, ইউনানী, হোমিওপেথিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। বহুগুনের এই নিমে আছে- অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাস, এনালেজিক, অ্যান্টিপাইরেটিক, অ্যান্টিসেপ্টিক, অ্যান্টিমাইক্রবাল, অ্যান্টিডায়াবেটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং রক্ত বিশুদ্ধকরণ উপাদান। নিমের এই বিশেষ উপাদানগুলো দেহের বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণ করে, নানা ধরণের রোগ হওয়ার লক্ষনগুলো উপশম করে। বুঝতেই পারছেন এই সামান্য পাতার মধ্যে যখন এতো গুন রয়েছে, উকুন সমস্যা রোধ করার মতোও ক্ষমতা এই নিম পাতায় আছে।

উকুন রোধ করতে যা করবেন

২০১২ সালে প্যারাসাইটলজি নামের একটি জার্নালে বলা হয় যে, নিমের বীজ মাথার উকুন রোধ করতে খুব উপকারী। তাছাড়া নিম, মাথার স্কাল্প এর জ্বালাপোড়া ও চুলকানিও রোধ করে।

১। সপ্তাহে ২/৩ বার হার্বাল যেকোন শ্যাম্পু যাতে নিমের ব্যবহার রয়েছে তা দিয়ে মাথা ভালো করে ধুয়ে উকুন নাশক চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে হবে।

২। নিমপাতা বেটে সরাসরি মাথার স্কাল্পে লাগিয়ে নিন। না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এরপর উকুন নাশক চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। উকুন পুরোপুরি রোধ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে ২/৩ বার এই উপায় অনুসরণ করুন।

৩। আপানার চুল ও স্কাল্পে নিম অয়েল ভালোমতো ম্যাসেজ করুন। এরপর উকুন নাশক চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়িয়ে নিন উকুন রোধ করার জন্য। চাইলে নিম অয়েল ম্যাসেজ করার পর ঘণ্টা খানেক মাথায় রাখতে পারেন বা সারারাতও রাখতে পারেন। পরের দিন সকালে চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন।

Leave a Reply