পরিচিত মধুর অজানা ৬টি স্বাস্থ্যগুণ !

চিনির বিকল্প হিসেবে বলুন কিংবা রোগ প্রতিরোধে, সব ক্ষেত্রেই মধু বেশ কার্যকরী। গবেষণায় দেখা গেছে চিনি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। অনেকে মনে করেন শুধু চিনি নয়, চিনির মত সকল মিষ্টি জাতীয় খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু কথাটি একদম সত্য নয়। চিনি বিকল্প হিসেবে মধু ব্যবহার করতে পারেন। এটি চিনির মত স্বাদ দিয়ে থাকে কিন্তু কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া।

১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

বিশুদ্ধ মধুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল এবং এনজাইম রয়েছে যা শরীরকে ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। প্রতিদিন ১-২ টেবিল চামচ মধু গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন। চাইলে এতে দারুচিনি, লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। নিয়মিত পানে এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

২। ওজন হ্রাস করতে

গরম পানির সাথে লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে নিন। এটি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। এটি প্রতিদিন পানে আপনার লিভার পরিষ্কার করবে, বিষাক্ত পদার্থ দূর করে ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। ১ টেবিল চামচ মধু, ১টি লেবুর রস এবং গরম পানি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন।

৩। হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে

মধুতে ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা ক্যান্সার এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে থাকে। মধু এবং দারুচিনির মিশ্রণ রক্তে কোলেস্টেরল ১০% পর্যন্ত হ্রাস করে থাকে। ১-২ টেবিল চামচ মধু এবং ১/৩ চা চামচ দারুচিনি গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।

৪। কফ, ঠান্ডা এবং কাশি দূর করতে

ঠান্ডা, কাশি কফ দূর করতে মধুর জুড়ি নেই। ১১০ জন শিশুর মধ্যে এক পরীক্ষা চালানো হয়। দেখা যায় যারা বিশুদ্ধ মধু খেয়েছেন তারা দ্রুত সুস্থ হয়েছে, যারা ডেক্সটোমেথফেন খেয়েছে তাদের তুলনায়।

৫। হজমে সাহায্য করে

মধু পেট ফাঁপা দূর করতে সাহায্য করে। গরম দুধ এবং মধু মিশিয়ে পান করুন এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে থাকে।

৬। ত্বকের যত্নে

অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। সারারাত মুখে মধু লাগিয়ে রাখুন। সকালে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বককে নরম এবং কোমল করে তোলে। এছাড়া বিভিন্ন ফেসপ্যাকে মধু ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

মধু প্রায় সবার ঘরে পাওয়া যায়। এই সহজলভ্য উপাদনটি নিয়মিত খেয়ে আপনি থাকতে পারেন আরও বেশি সুস্থ এবং সুন্দর।

Leave a Reply