পরিবেশে ছড়িয়ে পড়া যে সাতটি পদার্থ ত্বকের জন্য ক্ষতিকর

পরিবেশ দূষণের কারণে বায়ুতে ছড়িয়ে পড়ছে নানা ক্ষতিকর বস্তু। বিভিন্ন শিল্পপণ্য ব্যবহারে এসব ক্ষতিকর বস্তু মানুষের সংস্পর্শে আসে। শহর অঞ্চল বিশেষ করে ঢাকার মতো দূষিত নগরে কিংবা শিল্পকারখানাসমৃদ্ধ এলাকায় এ ধরনের বিষ বায়ু ও পানির মতো মাধ্যম ব্যবহার করে ছড়িয়ে পড়ছে। এ লেখায় থাকছে ত্বকের জন্য ক্ষতিকর সাতটি বিষের কথা।

১. ডাইঅক্সিনস
আপনার ত্বকের জন্য অন্যতম ক্ষতিকর উপাদান হলো ডাইঅক্সিনস। এগুলো ব্যাপক মাত্রায় কমবাস্টন ইঞ্জিন থেকে নিঃসরিত হয়। এগুলো ত্বকের সংস্পর্শে এসে র‌্যাশসহ নানা মারাত্মক সমস্যা তৈরি করে।

২. ক্লোরিন
অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রেই সুইমিংপুলে ক্লোরিনমিশ্রিত পানিতে একটা সাঁতার দিলে কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু কিছু মানুষের ত্বক ক্লোরিনের প্রতি সংবেদনশীল এবং এর সংস্পর্শে ত্বকের চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দেয়।

৩. কীটনাশক
কৃষিপণ্য মানেই এখন কীটনাশক। তাই এ থেকে মুক্ত থাকা অনেকটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও অধিকাংশ সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেই এটি সহনীয় হয়ে যায় এবং জীবন সংহার করে না। তবে এটি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। কীটনাশকের সংস্পর্শে ত্বকের জ্বালাপোড়া, চুলকানি, প্রদাহসহ নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। আর এটি যদি দেহে প্রবেশ করে তাহলে তা রক্তের সঙ্গে মিশে গিয়ে ক্যান্সারসহ নানা মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

৫. পেট্রলের গ্যাস
নিয়মিত পেট্রলের গ্যাস আপনার নাকে ঢুকলে তা যথেষ্ট ক্ষতি করে। এ ছাড়াও গ্যাসটি ত্বকে লাগলে তা ত্বকের যথেষ্ট ক্ষতি করে। এর কারণে ত্বকের জ্বালাপোড়া হতে পারে। চোখে এ গ্যাস লাগলে চোখের যথেষ্ট ক্ষতি হয়।

৬. প্রোপেন
প্রোপেন গ্যাস ব্যবহার করে সাধারণত খাবার গ্রিল করা হয়। এ গ্যাসটি রান্নার জন্য নিরাপদ হলেও ত্বকের সংস্পর্শে আসা ক্ষতিকর। ফলে ব্যবহারে সতর্কতা প্রয়োজন।

৭. ফর্মালডিহাইড
বিভিন্ন পণ্যে এ ফর্মালডিহাইড ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বকের সংস্পর্শে আসলে নানা ক্ষতি হয়। তাই এসব পণ্য থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখা উচিত।

Leave a Reply