নায়িকা পরীমণি। ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই তারকা খ্যাতি পাওয়ার কারণে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে তাকে নিয়ে। সম্প্রতি তার অভিনীত ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু তাকে নিয়ে কি ভাবছেন চলচ্চিত্র অঙ্গনের লোকজন।
পরিচালক, প্রোযোজক, হলমালিক সমিতি, শিল্পী সমিতির সংশ্লিষ্ট কয়েকজন পরী সম্পর্কে মূল্যায়ন করেছেন। তা তুলে ধরো হলো এখানে
শাহ আলম মন্ডল [নির্মাতা, ভালোবাসা সীমাহীন]
পরীকে নিয়ে প্রথম যখন শ্যুটিং করি তখনই বুঝতে পারি যে পরীমণি কিছু একটা করতে পারবে। এককথায় তাকে বলতে চাই পরী গড গিফটেড। যেটা সর্বশেষ শাবনূরের ক্ষেত্রে দেখা গেছে। এবং ওর ভেতরে একজন নায়িকা হওয়ার যত ধরনের গুন দরকার এর সবকিছুই আমি ওর মধ্যে দেখতে পেয়েছি। দর্শকদের উদ্দেশ্যে একটি কথা বলব তারা যেন হলে গিয়ে চলচ্চিত্রটি দেখে। আমার বিশ্বাস পরী বাংলা চলচ্চিত্রের নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারবে।
আতিকুল ইসলাম [প্রোযোজক, ভালোবাসা সীমাহীন]
পরীমণিকে আমি যেদিন প্রথম দেখি সেদিনই আমার বেশ ভালো লাগে ওকে। এবং আমি বুঝতে পারি তাকে নিয়ে ছবি বানালে ছবি হিট হবে। তবে একটু ভয়ও ছিল কিনা কি হয়। এটাই আমার প্রযোজনায় প্রথম চলচ্চিত্র। এ পর্যন্ত দর্শক সাড়া ভালোই পাচ্ছি। এবং পরীকে নিয়ে ভবিষ্যতেও কাজ করার ইচ্ছে আছে। তবে ও খুব অভিনয়ে মেধাবী। এটা ধরে রাখতে পারলে ভবিষ্যতে নতুন একটি উদাহরণ হতে পারবে।
মিয়া আলাউদ্দিন [বাংলাদেশ হল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক]
পরীমণিতো ছবি মুক্তির আগেই দর্শক প্রিয়তা পেয়েছে। ভালোবাসা সীমাহীন মোটামুটিভাবে ব্যবসা সফল। এটা খুব কম নায়িকার ক্ষেত্রেই দেখা যায়। দর্শকরা তাকে খুব আপন করে নিয়েছে। যে কেউ চাইলেই নায়িকা হতে পারে না। তার একটি চাহিদা আছে। তা নাহলে পরিচালকারা তাকে নিয়ে ছবি বানাতে হুমরি খেয়ে পরত না। এবং তার উদ্দেশ্যে একটি কথা বলা ফিল্মে টিকে থাকতে হলে সময় নিয়ে কাজ করতে হবে।
অমিত হাসান [বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক]
পরীমণিকে নিয়ে খুবই আশাবাদী। ও ভালো কিছু করবে। তার সঙ্গে যদিও আমি এখন পর্যন্ত অভিনয় করতে পারিনি। ওকে ফিল্মে টিকে থাকতে হলে অভিনয়ের দিকে খুবই নজর দিতে হবে। নায়িকা হওয়ার জন্য যে যে গুন দরকার তা পরীমণির মধ্যে রয়েছে। তারপরও চূড়ান্তভাবে চলচ্চিত্র যদি ব্যবসা সফল না হয় সেটা কিন্তু পরীর ক্যারিয়ারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এ বিষয়টা তাকে মাথায় নিয়ে কাজ করতে হবে।